#কলকাতা: স্মার্টফোনে বন্দি ছেলেবেলা। পেটকাটি, চাঁদিয়ালরা যেন ডুমুরের ফুল! আজকের কচিকাঁচাদের বেশিরভাগই তাদের চেনে না। বিশ্বকর্মা পুজোয় দল বেঁধে ঘুড়ি ওড়ানোর হুল্লোড়ও ওদের অদেখা। কিন্তু মাঝবয়সী বা প্রবীণরা ছোটবেলা ফিরে পেতে ছুটি ছিনিয়ে নেন। মাঞ্জার প্যাঁচে ঘায়েল করার হাতছানি আজও এড়াতে পারেন না !
পোকেমন, অ্যাংরি বার্ডে অভ্যস্থ হয়েও ঘুড়ি ওড়াতে ভাল লাগে মানস, প্রেমাশিসদের। বিশ্বকর্মা পুজোর সকাল থেকে শুরু ঘুড়ির লড়াই।
ছোটবেলার বিকেলগুলো কাটত ঘুড়ি উড়িয়েই। বড় হতেই সেসবের পাট চুকেছে। তবুও বিশ্বকর্মা পুজোর ট্র্যাডিশন ভাঙতে নারাজ কর্পোরেট অফিসের চাকুরেরা।
বয়সের ভারে অশক্ত শরীর। তবুও টাটকা বিশ্বকর্মা পুজোর স্মৃতি। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিতেই প্রবীণদের জন্য ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা। আয়োজক রাজারহাটের একটি আবাসন। উপস্থিত ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।
পুজোর সকালে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন রাজ্যের মন্ত্রীও। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, '‘ আমার বাবা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত ঘুড়ি উড়িয়েছেন। ভুল প্যাঁচ কষলে রেগে যেতেন। আমি সেটাই বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’’
পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি। বিশ্বকর্মার পুজোর আকাশে আর দেখা যায় না। নবীন প্রজন্মের এতে আগ্রহ নেই। যাঁরা এখনও মেনে চলেন, তাঁরা চান টিকে থাকুক।
আরও দেখুন-