#কলকাতা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা বলে কথা! সেটাও আবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে! স্বাভাবিকভাবেই ঘুম ওড়ার জোগাড় পুলিশ প্রশাসনের।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগেই কলকাতায় চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিকরা। দফায় দফায় ব্রিগেড পরিদর্শন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক, সময় যত এগোচ্ছে, ততোই বাড়ছে তৎপরতা।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখেই ব্রিগেডে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি নির্দেশ দিয়েছেন এসপিজি-র দুই শীর্ষ আধিকারিক বিপিন জোশি ও বিমল পাওয়ার। একইসঙ্গে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো ব্রিগেড ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে।
ব্যারিকেড ও গার্ড-রেল ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করে ফেলা হচ্ছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডকে। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরির জোনে প্রবেশাধিকার মিলবে শুধুমাত্র কার্ডধারীদের। মাঠের যে কোনও এক দিক দিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডে ঢোকানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপি অতিথিদের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সকল ব্যক্তিদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এসপিজি-র পক্ষ থেকে ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, আনুমানিক কত মানুষের জমায়েত হতে পারে! গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় সাত থেকে আট লক্ষ মানুষের জমায়েতে আশা করা হচ্ছে।
দিল্লি থেকে উড়ে আসা নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে ব্রিগেডের সমস্ত সাজ সরঞ্জাম তৈরি করার জন্য শনিবার দুপুরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডের ব্যবস্থাপনায় থাকা রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং যদিও জানিয়েছেন,"নির্দিষ্ট সময়সীমার অনেক আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড।"
প্রচন্ড গরমের কথা ভেবে সাধারণ মানুষের জন্য মাঠের সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের পাউচ রাখার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডের মূল মঞ্চের ওপর হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করা হচ্ছে। যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৩০ মিটার ও ৪০ মিটার। ছাদের উপর থাকবে অগ্নি-নিরোধক চাদর।
PARADIP GHOSH