#কলকাতা: জল্পনাই সত্যি হল। ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর হাতেই শুভারম্ভ হবে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর। বিধানসভা ভোটের আগেই চালু হতে চলেছে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো। প্রকল্প উদ্বোধনে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ও। সব ঠিক থাকলে ভিক্টোরিয়া কাণ্ডের পর আরও একবার এক ফ্রেমে দেখা যাবে মমতা- মোদিকে। থাকবেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলও।
সোমবারই এই প্রকল্পের যাবতীয় খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর অবধি মেট্রো চালু হলে উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির মধ্যে যোগাযোগ আরও মসৃণ হতে চলেছে। অনেকেই আশা করেছিলেন, কল্পতরু পুজোয় মেট্রো চেপে পৌছে দিতে পারা যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। সেই আশা পূর্ণ হয়নি। তবে চলতি মাস থেকেই পুজো দিতে দক্ষিণেশ্বর পৌছে যেতে পারেন মেট্রো চেপেই। ইতিমধ্যেই চার'দফায় পরিদর্শন সেরে ফেলেছে আরভিএনএল ও কলকাতা মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। মেট্রোর ট্রায়াল রান চলছে জোরকদমে। সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে দক্ষিণেশ্বর ও বরানগর মেট্রো স্টেশন প্রায় প্রতিদিনই পরিদর্শন করছেন জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী সহ সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা।
একাধিকক বার আরভিএনএল প্রতিনিধিরা পরীক্ষা করেছেন স্টেশন, ট্র্যাক। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর অবধি ট্রলিতে পরিদর্শন সেরেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ আধিকারিকরা। সব ঠিকঠাক থাকলে, ২২ ফ্রেব্রুয়ারি যাত্রী পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চলছে জোর কদমে কাজ। দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন নির্মাণের সব কাজ শেষ। বরানগর মেট্রো স্টেশনের বাইরের অংশে সাজানোর কাজ শেষ। জোরকদমে চলছে বরানগর মেট্রো স্টেশন এলাকায় বাকি সাজানোর কাজ। প্রতিদিন কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছেন, আর ভি এন এল ও মেট্রো রেলের আধিকারিকরা।
দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন দেখতে হয়েছে অনেকটা মন্দিরের আদলেই। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আপনি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশ করছেন। এই মেট্রো স্টেশনে পৌছনোর জন্যে যেমন আলাদা রাস্তা আছে। তেমনি ডানকুনি-শিয়ালদহ শাখায় দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকেও মেট্রো চড়ার জন্য রাস্তা থাকছে। বরানগর স্টেশন অবশ্য হচ্ছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে। ডানলপ থেকে সহজেই এখানে পৌছে যাওয়া যাবে। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে থাকছে মাত্র একটি স্টেশন। নোয়াপাড়া ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে দুরত্ব হচ্ছে মাত্র ৪.১ কিলোমিটার। নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন জোর কদমে চলেছে সিগন্যাল-টেলিকমিউনিকেশন পরীক্ষার কাজ। সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সি আর এসের কাছ থেকে এসে গিয়েছে যাত্রীবাহী মেট্রো চলাচলের অনুমতিপত্র। স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ। এসক্যালেটর বসানো হয়ে গিয়েছে৷ প্ল্যাটফর্ম বোর্ড বসে গিয়েছে। চলছে এটিভিএম পরীক্ষার কাজ। টিকিট কাউন্টার মেশিনে পরীক্ষার কাজ চলছে জোর কদমে। স্টেশনে বিভিন্ন আত্মিক ম্যুরাল বসানো হয়েছে। বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই, স্টেশন প্রশস্ত করা হয়েছে।