#কলকাতা: বাংলায় দুই দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে সবে। শাসক-বিরোধী দুই পক্ষকেই এখনও ছয় দফা লড়াই চালাতে হবে। আর দুই পক্ষই চাইছে একে অন্যের মনোবলে ধাক্কা দিতে হারের অঙ্ক সামনে এনে। আজ বিজেপির হয়ে তৃণমূলকে আজ হুগলির হরিপালেরর সভা থেকে সেই ধাক্কাটাই দিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, তৃণমূলের অভিযোগের পাহাড় হারের ভয় থেকেই।
নরেন্দ্র মোদি এ দিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলছে নিজদের সমস্যা আছে বলেই। তাঁর কথায়, "খেলার মাঠে কোনও খেলোয়াড় যদি আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের ত্রুটি আছে। আসলে তাঁর খেলা শেষ।" এদিনও বারংবার মোদির গলায় ছিল সেই চেনা সুর, "দিদি ও দিদি...." মোদি বললেন, আপনার হার নিশ্চিত। আপনি স্বীকার করুন। হুগলির মানুষের আওয়াজ শুনুন। নির্বাচন খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়, গণতন্ত্র মানুষের সেবার পথ। মানুষের উন্নতির পথ। আপনি সবই ভুলে গিয়েছেন। বাংলার লোকের সঙ্গে তাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।" আরামবাগ থেকেই মোদির আরও অভিযোগ, সিঙ্গুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
উল্লেখ্য এদিন নরেন্দ্র মোদির সভার কিছুক্ষণ আগেই একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি যশবন্ত সিং বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁর কথায়, গত রাতেই নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ বৈঠক করেথেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, প্রথম দুদফায় নিরাশাজনক ফল হয়েছে। বাকি যে পর্যায় রয়ছে সেখানে মাইন্ডগেমেই ভরসা রাখবে বিজেপি। মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হবে। সত্য মিথ্যে জানা যাবে ২ মে-তেই, তবে মোদি ভরসা রাখলেন মাইন্ডগেমেই। তাঁর তুরুপের তাস হয়ে উঠল বাঙালির বাঙালিত্বের অহংকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বারংবার বলেছে, বিজেপির সভায় টাকা দিয়ে লোক আনা হচ্ছে। মোদি বললেন এই দাবিটাই বাঙালির পক্ষে অগৌরবের। তাঁর কথায়, "আপনি বাংলার মানুষের অপমান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন টাকা নিয়ে লোক আনা হচ্ছে। আপনারা টাকার বিনিময়ে এসেছেন কিনা জানান। কেউ তাদের কি কিনতে পারে নাকি! এ কথা বলে বাংলার জনতাকেই অপমান করছেন। বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না, আমাকে অপমান করুন। ওরাই আপনাকে মসনদে বসিয়েছিল।"