হোম /খবর /কলকাতা /
নবান্নে এবার 'ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক', ছবি উঠলেই হাজিরা

Nabanna: সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কড়াকড়ি, নবান্নে এবার 'ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক', ছবি উঠলেই হাজিরা

আগামী ২ মে থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে নবান্নে। রাজ্যের অন্যান্য দফতরেও এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

  • Share this:

কলকাতা: নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি কর্মীদের অফিসে আসা নিশ্চিত করতে আর আঙুল ছুঁয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা নয়। পরিবর্তে আনা হচ্ছে ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক। কর্মীরা অফিসে এসে এই মেশিনের সামনে  দাঁড়াতেই ছবি উঠবে। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি সার্ভারে সময় ধরে তাঁর উপস্থিতি রেকর্ড হয়ে যাবে। অফিস ছাড়ার সময়ও একই পদ্ধতিতে কর্মীকে সময় রেকর্ড করাতে হবে। আগামী ২ মে থেকে নবান্ন রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই নয়া হাজিরা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে।

নতুন ব্যবস্থা চালু হলে নবান্নে কর্মরত সরকারি কর্মীদের সোয়া দশটার মধ্যেই অফিসে আসতে হবে। দেরি হলে ‘লেট মার্ক’ সরকারি খাতায় পড়ে  যাবে যা কাটানোর কোনও সুযোগ থাকছে না। তিন দিন লেট হলে একজন  কর্মীর একটি ক্যাজুয়াল লিভ(সিএল) কাটা হবে। আবার সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করার কথা। নিয়ম মেনে সোয়া পাঁচটার আগে অফিস ছাড়া যাবে না। কোনও অফিসার নয়, নজরদারি করবে এই নয়া মেশিন, যেখানে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় শুধুমাত্র নবান্নতে এই নয়া ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক বসানে হচ্ছে। এর দায়িত্বে রয়েছে ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড(ডাব্লউটিএল)। প্রতিটি তলায় তিনটি করে মোট বিয়াল্লিশটি মেসিন বসানোর কাজ শেষ। খরচ হচ্ছে ২৫ লক্ষ টাকা। প্রায় আড়াই হাজার সরকারি কর্মী নবান্নে কাজ করেন। প্রত্যেকের সরকারি আইডি নম্বর ইতিমধ্যেই সরকারি সার্ভারে রেকর্ড করা হয়েছে।বুধবার থেকেই কর্মীদের ছবি তোলার কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, নবান্নে বায়োমেট্রিক বসাতে আট বছর আগে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ল্যান লাইন বসিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল।কিন্তু সেই বায়োমেট্রিক একদিনও ব্যবহার করা হয়নি। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের অর্থ দফতর-সহ কয়েকটি দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন। কর্মচারীরা কেন দেরিতে আসছেন তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরপরই এই ব্যবস্থা চালু হাওয়াকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Nabanna