দক্ষিণবঙ্গ: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে শুরু করে বজবজ৷ একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু। এবার তাই বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার বাজি প্রস্তুতকারী একাধিক সংস্থার সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা উঠে আসে। তার পরপরই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্রের নাগপুরে “ন্যাশনাল এনভারমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট” কে রাজ্যের তরফে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে কেন্দ্রীয় এই গবেষণা সংস্থাও। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ন্যাশনাল ইনভারমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর অধিকর্তা ই-মেলে জানিয়েছেন, তাঁরা নতুন লাইসেন্স যাঁরা নেবেন সেই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: অমিত শাহের ‘স্বপ্নপূরণে’ কি শেষমেশ ভরসা ভোটকুশলী! জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে, বড় খবর!
সেক্ষেত্রে অবশ্য, বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। জুন মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি ব্যাচে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এই সংস্থার তরফে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যে বৈঠক হয় সেই বৈঠকেই নবান্নের তরফে জানানো হয় যে, তারা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার জন্য আগে প্রশিক্ষণ দিতে চায়। পাশাপাশি, শব্দবাজির ঊর্ধ্বসীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেলও করা হয়েছে। শব্দবাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে গত মঙ্গলবার বৈঠকে তা জানানো হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার যে একটি ক্লাসটার তৈরি করতে চায় সেই পরিকল্পনার কথাও বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। গত সোমবার নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’মাসের মধ্যে কী ভাবে বাজি উৎপাদনের জন্য একটি ক্লাস্টার তৈরি করা যায়, তা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির কথা বলেছিলেন মুখ্য সচিবকে।
তারপরেই মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে তৈরি হয় একটি বিশেষ কমিটি। তার পরপরই বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে গত মঙ্গলবার নবান্ন। ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি তল্লাশি অভিযান আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা। গত ১৭ মে থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি বাজি অভিযানে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
তবে আপাতত নবান্নচায় পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি এবং এই বাজি তৈরির জন্য যাতে প্রযুক্তির সাহায্যে প্রশিক্ষণ নেয় রাজ্যের বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। তার জন্যই কেন্দ্রীয় এই সংস্থার কাছে আবেদন জানায় নবান্ন বলেই সূত্রের খবর। অবশেষে কেন্দ্রে এই সংস্থার কাছে ইতিবাচক ছাড়া আসায় ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন নবান্নের শীর্ষ মহল শীঘ্রই বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nabanna