#কলকাতা: কলকাতা ময়দান দিয়ে জোকা-ধর্মতলা মেট্রো লাইন নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত জট খুলতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের লিয়াজোঁ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই এই প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সেনার জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সমাধান সূত্র বের করতে রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দফতর একটি সেল তৈরি করবে। এই সেল নিয়মিত সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রকল্প রূপায়ণে জমি জট খুলতে রেল বিকাশ নিগমকে সাহায্য করবে।এমনটাই আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: "বিচারবিভাগ 'বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ' নেতাদের মন্তব্য হজম করবে না" সতর্কবার্তা আদালতের!
নবান্ন সূত্রের খবর, তিন বছরের মধ্যে এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। এই মেট্রো প্রকল্প কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলেও রাজ্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পরিবহণ সচিব কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এই মেট্রো প্রকল্পের দক্ষিণ শহরতলির একটা বড় অংশের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের পাশ দিয়ে কলকাতা ময়দানের ভূগর্ভ দিয়ে এই মেট্রো ধর্মতলায় পৌঁছানোর কথা। এজন্য সমস্ত ছাড়পত্র মিললেও কাঁটা হয়ে দাঁডি়য়েছে সেনা।
আরও পড়ুন: অর্পিতার কান্নায় কটাক্ষ কুণালের! 'ষড়যন্ত্র আবার কী!' পার্থর দাবি ফুৎকারে ওড়ালেন সৌগত!
নবান্ন সূত্রে খবর, এই মেট্রো পথ মোমিনপুরের কাছে ভূগর্ভে প্রবেশ করবে। তাই এখানে সেনা হাসপাতালের সামান্য জমি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করতে দিতে হবে । পাশাপাশি ভিক্টোরিয়ার সামনে ও ধর্মতলায় মেট্রো স্টেশন হবে সেনার জমিতে। সেনা এই জমি ব্যবহারের জন্য টাকা চায়। জমির ভূগর্ভ দিয়ে মেট্রো লাইন নিয়ে যেতে আপত্তি নেই। স্টেশন করতে হলে ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু মেট্রো এজন্য সেনাকে এক পয়সা দিতে নারাজ। বিকল্প পথ খুঁজতে রাজ্য সরকার মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়েছে।
নবান্নর আধিকারিকদের ব্যাখ্যায়, প্রতিবছরই সেনার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক হয়। এর নাম সিভিল-মিলিটারি লিয়াঁজো বৈঠক। বৈঠকে ইস্টার্ন কমান্ডের আধিকারিকরা ছাড়াও রাজ্য সরকারের বন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পুর ও নগর উন্নয়ন, সেচ,পূর্ত ও ভূমি সংস্কার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, ডিভিশনাল কমিশনার ও রেল বিকাশ নিগমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উপস্থিত ছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে গত ২ বছর এই বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। এ'বছর ফের বৈঠক হল। এই বৈঠকে মূলত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সেনার জমি ব্যবহার করার বিষয়গুলি গুরুত্ব পায়। এছাড়াও সেনা বাহিনীর যদি কোনও সমস্যা থাকে তাও উঠে আসে। এদিনের বৈঠকে অবশ্য মেট্রো প্রসঙ্গ গুরুত্ব পেয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nabanna