#কলকাতা: সংসারটা চলছিল বেশ, লকডাউনে অভাব যেন গ্রাস করল পলকে। তিন মাস লকডাউনে গৃহবন্দী থেকে দোকান খুলতেই ঘুরে দাঁরানোর লড়াইটা চালিয়েছিল সুন্দর হালদার। লকডাউন শেষ করেই আনলক হতেই নারকেল বাগানে পানের দোকান খুলেছিল সুন্দর। কিন্তু করোনা সংক্রমণ থেকে সাবধানতায় স্বাদের পানের দোকান থাকত ফাঁকা। ক্রেতা অভাবে রোজ নিয়ম করে দোকান খোলা হলেও ক্রেতা মিলত হাতে গোনা। লকডাউনের পরে দোকানে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি থাকায় মানসিক অবসাদে ডুবে থাকত সুন্দর।
রোজের মত বৃহস্পতিবার সকালে দোকানে খুললেও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় দোকান। যদিও সেইদিন রাতে বাড়ি না ফেরায় চিন্তা বাড়ে বাড়ির সদস্যদের। বৃহস্পতিবার রাত কাটিয়ে শুক্রবার সকালে নেতাজি নগর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে পরিবার। গত দশ বছর ধরে দোকানের বাইরে যে অন্য কোথাও যায় না, তার হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া চিন্তা বাড়িয়েছিল হালদার পরিবারে।
জয়নগর থেকে কলকাতায় এসে চার হাজার টাকা ঘর ভাড়া অনেকটাই মানসিক চাপ বাড়াচ্ছিল সুন্দরের। শুক্রবার সকাল থেকে সুন্দরের আত্মীয় ও পরিচিত দোকানদারের থেকে কোন পাওয়া যায় নি। শনিবার সকালে দোকান থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং থেকে মেলে এক ব্যাক্তির দেহ। ঘটনাস্থলে বাঁশদ্রোনী থানার পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। উদ্ধার হওয়া দেহটির পাশেই ছিল একটি পাত্র। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে পড়ে থাকা পাত্রটিতে ছিল বিষ। বাড়ির লোকের থেকে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে করোনা সংক্রমণের জন্য পানের দোকানের বেচাকেনা কার্যত বন্ধ হয়েছিল। দোকানে থাকা সামান্য কিছু জিনিসের বিক্রি হলেও লাভের লাভ কিছুই হত না। দেহের পাশে থাকা ইঁদুরের বিষ মিললেও কি কারণে মৃত্যু তা বোঝা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে ।
Susobhan Bhattachrya
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lockdown