#কলকাতা: দীর্ঘ কুড়ি বছর। অবশেষে 'আসল পরিবর্তনের' জন্য ভোটে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়। তাঁকে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপি প্রার্থী করা হল। বস্তুত সাংগঠনিক নেতা হিসেবে বরাবর সমাদর পেয়ে এসেছেন মুকুল রায়। হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ, সেই সূত্রে কেন্দ্রীয় রেল বা জাহাজ মন্ত্রকের মন্ত্রীও। কিন্তু ২০০১ সালের আর ভোটে দাঁড়াননি মুকুল। অবশেষে এবার তাঁকে আবার ভোটের ময়দানে নামাল গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তাঁকে শুধু প্রচারের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুকুল রায়কে ভোটে দাঁড় করানো নিঃসন্দেহে বিজেপির চমকই বটে। উল্লেখ্য, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুকে তাঁর নিজের কেন্দ্র বীজপুর থেকেই প্রার্থী করল দল।
২০০১ সালে শেষবার জগদ্দল থেকে বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন মুকুল রায়। সেবার অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই তৃণমূলের সাংগঠনিক সেনাপতি হয়ে ওঠেন তিনি। দলের গুরুদায়িত্ব দিলেও তাঁকে আর কখনও ভোটের ময়দানে নামাননি মমতা। এরপর বিজেপিতে যাওয়ার পরও মুকুলের সেই সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষমতাকেই কাজে লাগাতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। লোকসভা ভোটেও তাঁকে প্রার্থী করার কথা ভাবেনি বিজেপি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। এর আগের প্রার্থী তালিকায় চার সাংসদকেও ভোটে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। নবান্ন দখলে একেবারে মরিয়া চেষ্টা করছেন অমিত শাহরা। সেই সূত্রেই মুকুলকে প্রার্থী করা হল বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
তবে, শুধু মুকুল নন, তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়া সব্যসাচী দত্ত, মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু, শীলভদ্র দত্ত, গৌরীশঙ্কর দত্তদেরও প্রার্থী করেছে বিজেপি। যদিও প্রথম চার দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই যেভাবে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে, এরপরও সেই আদি ও নব্য বিজেপির সংঘাত চলে কিনা, সেটাই এখন দেখার।