#কলকাতা: মকুল রায়কে সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার ঘোষণা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে দলকে দুর্বল করার অভিযোগ ছাড়াও একাধিক দল বিরোধী অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি, পার্থর।
‘আশা করি এবার সাংসদ পদ ছাড়বেন ৷ নিজেই বলেছেন ছেড়ে দেবেন ৷ তাহলে পুজোর বাহানা দিচ্ছেন কেন?’ মন্তব্য তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৷ ‘দলের মধ্যে থেকে দলকে দুর্বল করছিলেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু সুযোগ দিয়েছেন ৷ সুব্রত বক্সি, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার চাপের কাছে নতিস্বীকার ৷ চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছেন ৷ জগদ্দলে বিধানসভা ভোটে হেরেছিলেন ৷ তারপরেও তাঁকে দলে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মমতা ৷ সাধারণ ঘরের ছেলেকে সর্বভারতীয় পরিচিতি দিয়েছিলেন মমতা ৷ রেলমন্ত্রী করেছিলেন, রাজ্যসভার সাংসদও করেছিলেন ৷ জানি না আর কী পেলে তিনি খুশি হতেন’, মন্তব্য তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৷
জল্পনা চলছিলই। আজ সমস্ত যুক্তি-তর্কে ইতি টানলেন মুকুল রায়। পঞ্চমীতেই দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। পুজোর পর রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেন। তাঁর আক্ষেপ, ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি তৃণমূলে রয়েছেন। তাই, দলত্যাগের ঘোষণা করতে তাঁর খারাপ লাগছে। তবে কেন পদত্যাগ, তা খোলসা করেননি মুকুল। পুজোর পরেই কারণ ব্যাখ্যা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।