#কলকাতা: দুদিনের ঝোড়ো সফরে কলকাতায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচিতে ঠাসা পদ্মশিবিরের ছবিটা উপর থেকে দেখে মসৃণ দেখাচ্ছিল। তাল কাটল প্রথমদিনেই, বেলা গড়াতে। কমলবনে ধরা পড়ল কাঁটা।
সূত্রের খবর গতকাল অর্থাৎ বুধবার, নাড্ডা আসতেই আইসিসিআর ছাড়লেন মুকুল। ভবানীপুরে জনসম্পর্ক করে কালীঘাট থেকে পূজো দিয়ে আইসিসিআর-এ সাংগঠনিক বৈঠক করতে আসেন নাড্ডা, তাঁর গাড়ির পিছনের সিটে বসেই এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আসার আগে মুকুল রায়কে দেখা গেলেও দ্রুত সভাস্থল ছাড়েন মুকুল। কেন চলে গেলেন মুকুল? তাই নিয়েই জল্পনা।
অথচ নাড্ডা আসার আগে বহাল তবিয়তেই আইসিসিআর-এ ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন মুকুল রায়। ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে ক্যাফেটেরিয়াতেও ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে যখন সৌমিত্র খাঁ-রা কাড়ানাকাড়া বাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন নাড্ডাকে তখনই চুপিসারে চলে গেলেন মুকুল? তিনি কি অনাহুত বোধ করছিলেন? মুকুল অনুগামীদের অনেকের দাবি, মুকুল রায় সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। কিন্তু সেই মর্যাদা পাননি আইসিসিআর-এ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিষয়টি সামনে আসতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন স্বয়ং নাড্ডাই। তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। মুকুল রায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। তাঁর সঙ্গে পালা করে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও। মুকুল রায়কে ডায়মণ্ডহারবারে আসার অনুরোধ জানানো হয় পালা করে। তিনটি ফলেই বরফ গলে জল হয়। মানভঞ্জন পালার পর আজ না়ড্ডার সভাই কতটা উজ্জ্বল দেখায় মুকুলকে সেটাই দেখার।