#কলকাতা: ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যে সাড়ে আটটা। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সদর দফতরে ঢুকলেন নরেন্দ্র মোদি। আগে ভাগেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্যরা। লম্বা আলোচনা চলল পরবর্তী চার দফার প্রার্থীপদ নিয়ে। প্রাথমিক ভাবে চারটি কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও ঘোষণা হল। কথা হল বাকি আসনগুলি নিয়ে। সূত্রের খবর মোদি-সহ সমস্ত বরিষ্ঠ নেতারাই চাইছেন, ভোটের লড়াইয়ে পা রাখুন মুকুল রায়। সেক্ষেত্রে মুকুল রায়ের জন্য বরাদ্দ হতে পারে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনটি। লড়তে হবে তৃণমূল প্রার্থী, রাজনীতিতেই নবাগতা কৌশানী মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর,এই মিটিংয়ে উঠে এসেছে আদি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার নামও। সেক্ষেত্রে আলোচনায় জোড়াসাঁকো আসনটির নাম। অবশ্য মীনাদেবী পুরোহিত নাকি রাহুল সিনহা, কাকে জোড়াসাঁকো থেকে লড়াতে পারে বিজেপি, তাই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
ভোটের ঘণ্টা বাজার অনেকটা আগেই মুকুল রায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ভোটে লড়তে চান না তিনি। তবে দল ভাঙানো থেকে কোথায় কাকে প্রার্থী করা যায়, ভোট নিয়ে দলের প্রতিটি পদক্ষেপেই সহায় হয়েছেন মুকুল রায়। এদিকে সময় যত এগিয়েছে দেখা গিয়েছে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির সংকটের শেষ নেই। একদিকে নব্য বিজেপিদের নিয়ে পুরনোদের অসূয়া, অন্য দিকে প্রার্থীর কবজির জোর, বিজেপি নেতাদের কপালে ভাঁজ ফেলছেই। এই অবস্থাতে জিততে মরিয়া বিজেপি শিবির চাইছে অল আউট খেলতে। নামিয়ে আনা হয়েছে স্বপন দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়র মতো সাংসদদের। চন্দননগের প্রার্থী হয়েছেন লকেট চ্যাটার্জী। কাজেই এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কেন! সঙ্গত কারণেই বিজেপি চাইছে মুকুল রায়ও লড়ুন।
কৃষ্ণনগর উত্তরে ২০১৬ সালে তৃণমূল জিতেছিল ১৯ হাজারের বেশি ভোটে। যদিও লোকসভা ভোটে এই আসনে অনেকটা ব্যবধানে এগিয়েছিল বিজেপি। মুকুল রায় এই অঞ্চলটিকে চেনেনও হাতের তালুর মতো। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী একেবারেই আনকোরা। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর পকেটে পুরতে চাইছে বিজেপি। অন্য দিকে জোড়াসাঁকো এলাকায় বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জেতে ৬২৯০ আসনে। আর ২০১৯ লোকসভা ভোটে রাহুল সিনহাকে তৃণমূল সাংসগ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হারান ১ লক্ষ ২৭ হাজারেরও বেশি ভোটে। এই অবস্থায় রাহুল সিনহাকে কোথায় দাঁড় করায় দল সেটাই দেখার।