#কলকাতা: রবিবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত হয় দূর্গা পিতুরি লেনে বাড়ি ভাঙা হবে দুটি, এছাড়া পুরসভা ঘোষিত বিপদজনক বাড়িও ভেঙে ফেলা হতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই দূর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা তৈরি ছিলেন বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে। দূর্গা পিতুরী লেনের ১৬ নম্বর বাড়ি ও ১৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দাদের সকাল ন'টা থেকে দশটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় মেট্রো প্রস্তুতকারক ভারপ্রাপ্ত সংস্থা কেএমআরসিএল-এর থেকে। সকাল এগারোটা থেকে বাড়ি ভাঙার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয় ঐ সংস্থার তরফে। সকালের রোদ চওড়া হতেই দূর্গা পিতুরি লেনের ১৬ নম্বর ও ১৬/১ নম্বর বাড়ির সদস্যরা ভিড় জমাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন - পল্লবীর ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনি সাগ্নিক, 'মেয়ের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছিল', অভিযোগ পল্লবীর পরিবারের
মেট্রোরেলের দেওয়া হেলমেট পড়ে অনুমতি পেতেই বাড়িতে চলে যান দুই বাড়ির সদস্যরা। শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করতে বাড়ির প্রায় সমস্ত জিনিস একে একে বাইরে করতে শুরু করে বাসিন্দারা। সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে অবসর সময়ের জিনিস ও বাইরে রাখতে দেখা যায় ঐ বাসিন্দাদের। দূর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দাদের হাতে বাড়ির পুজোর প্রতিমা থেকে অবসর সময়ের সঙ্গী বাদ্যযন্ত্রও নিয়ে ছেড়ে দিতে হয় বাড়ি দুটি। দূর্গা পিতুরী লেনের ১৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর ভুঁইয়াকে দেখা যায় বাড়ির ছাদে এসে রান্নাঘর থেকে তৈরি রুটি ফেলে দিতে।
আরও পড়ুন - অভিশপ্ত এলাকা! কলকাতার এই রাস্তায় পথচারীদেরও হেলমেট পরার নির্দেশ
বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই বাড়িগুলোতে শুধু টাকা-পয়সা বা আসবাবপত্র নেই, এই বাড়িগুলোতে জড়িয়ে আছে অনেক দিনের স্মৃতি ও আবেগ। ঘড়ির কাঁটা এগারোটার ঘরে যেতেই দেখা যায় ১৬ ও ১৬/১ নম্বর বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারদের আনাগোনা। সেখানে ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে রাখার সঙ্গে ফিতে দিতে মাপা ও হয়। বাড়িগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি রেকর্ড রাখতেই ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়। ফিতে দিয়ে মাপার কারন মূলত, বাড়ির বিপদজনক অংশ বুঝে নেওয়া ও কি পদ্ধতিতে ভাঙা হবে তা আলোচনা করা। কারন বর্তমানে দূর্গা পিতুরি লেনের একাধিক বাড়ির অবস্থা ভালো নেই, তুলনামূলক ভাবে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৬ ও ১৬/১ নম্বর দুটো বাড়ি। সেই দুটি বাড়ি ভাঙার সময় যাতে অন্য বাড়ির ক্ষতি না হয় সেদিকেই নজর রাখার জন্য বাড়ির বিভিন্ন অংশ মাপা হয় সোমবার। এই দুটি বাড়ি আংশিক ভেঙে দেওয়ার পরে বাড়ি বিপদমুক্ত হলে আর ভাঙার কাজ হবে না সূত্রের খবর, তবে বিপদমুক্ত না হলে দূর্গা পিতুরি লেনের ১৬ ও ১৬/১ বাড়ি পুরোপুরি ভাঙ্গা হবে। এদিকে দূর্গা পিতুরী লেনের ১৫ নম্বর বাড়িটি আগেই কলকাতা পুরসভার তরফে বিপদজনক বাড়ি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, কলকাতা পুরসভার অনুমতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভে রিপোর্ট এলেই সিদ্ধান্ত হবে এটি ভাঙা হবে কিনা বাড়িটি। ২০১৯ সালে ২৩ টি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বা ভেঙে যায়, এই বছর আরও ২ টি বাড়ি ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ভাঙা বাড়ির সংখ্যা হল ২৫টি।
Susovan Bhattacharjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Metro Rail