#কলকাতা: আদালতের নির্দেশ মানছে মানুষ। মণ্ডপগুলি অনেকটাই দর্শকশূন্য। কিছুই চাপিয়ে দিতে হচ্ছে না, স্বেচ্ছাতেই হাইকোর্টের নির্দেশ মানছেন বেশিরভাগ সুনাগরিক। সেই হাওয়া বুঝেই একটানা ন'মাস কোভিড যুদ্ধের পর একটু যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল পুলিশ। ছুটিতে পাঠান হল কলকাতা পুলিশের বহু কর্মীকে। মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশের পরিমাণ কমেছে, রাস্তাঘাট সচল রাখা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন কিছু কর্মী। বাহিনীর একটা বড় অংশই বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন বলে খবর।
সপ্তমীর কলকাতা মানেই পরদিন সংবাদপত্রে শিরোনামের শুরুয়াত জনজোয়ার শব্দটি দিয়ে, এমনটাই হয়ে এসেছে, কিন্তু এবারের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। জনতার উপচে পড়া ভীড় নেই নেই হেভিওয়েট পুজোতেও। কাজ হয়েছে হাইকোর্টের দাওয়াইয়ে ফলে কাজ কমে গিয়েছে পুলিশের। শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিতের মোটের উপর ছবি এটাই।
হাইকোর্টের রায় তো আছেই। তার মধ্যে বাধ সেধেছে প্রকৃতিও। শুক্রবার গোটা বাংলাজুড়েই দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। আশঙ্কা ছিল নিম্নচাপ জনিত অতিভারী বৃষ্টিরও। কিন্তু সেই সংকট কেটে যায় ক্রমে। স্থলভাগে নেমে শক্তি হারায় বৃষ্টি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। ফলে হেঁটে নয়, নেটে পুজো দেখাতেই ভরসা রেখেছেন মানুষ। জেলার দিকে কিছু মানুষ মণ্ডপমুখী হলেও ভীড় এত কম যে আলাদা করে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝোলাতে হয়নি।
সব দেখেশুনে হাঁফ ছাড়ছেন চিকিৎসকরাও। তাঁরা বলছেন, এমন ছবিটাই যদি বজায় থাকে, তবে পুজোর পরে বিরাট করোনা বাণ ডাকার সম্ভবনা থাকবে না, অন্তত লড়াই করা যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।