#কলকাতা: শুধু ভেলোরেই আটকে রয়েছেন এ রাজ্যের সাতশো জনেরও বেশি। বহুজন আটকে হায়দরাবাদ, মুম্বাইয়ে।এদের বেশিরভাগই গিয়েছিলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে। লক ডাউনের জেরে আটকে পড়ে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বেশিরভাগই। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী জানান, ভেলোরেই আটকে রয়েছেন সাতশো জন। তাঁরা পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটকে পড়া বাসিন্দারা নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করছেন।
অনেকে আবার পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে গিয়ে এখন সেখানে গৃহবন্দি। কেউ কেরলে, কেউ মহারাষ্ট্রে, কেউ গুজরাত, রাজস্থানে আটকে পড়েছেন। রোজগার নেই। হাতে অর্থ নেই। প্রয়োজনের খাদ্য সামগ্রীর ভাঁড়ারও শূন্য। সপরিবারের দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সহায়তা প্রার্থনা করেছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ হাসান। বীরভূমের মল্লারপুরের নইমুদ্দিন মোল্লা-সহ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ জন আটকে রয়েছে কেরলের মালপ্পুরম জেলার তিরংগারি থানার চোরমুখে। গত চারদিন ধরে সেখানে গৃহবন্দী তাঁরা। মহম্মদ হাসান ফোনে জানালেন,কাজ নেই তাই উপার্জনও নেই। কতদিন এইভাবে চালাতে পারব জানি না। তার ওপর ঘরভাড়া গুণতে হচ্ছে আমাদের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যেভাবে হোক আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
মুম্মাইয়ের মালাড পূর্বের তানাজি নগরের কুরারে আটকে রয়েছেন কালনার দফরপুর গ্রামের দশ জন। ওড়িশায় আটকে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার মির্জাবাটি গ্রামের আশিস দাস। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের আরও কয়েক জন আটকে রয়েছেন। সবাই যে যার মতো করে এলাকায় ফেরার আর্জি জানাচ্ছেন। অনেকেরই ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে। তাদের অর্থও শেষ। অনেকে একবেলা আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। খরচ বাঁচাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একসঙ্গে অনেকে কাটাচ্ছেন দিনের পর দিন। তাঁরা বলছেন, স্হানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে তেমন সহযোগিতা মিলছে না। অনেকেই মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও জোগাড় করতে পারেননি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে আটকে পড়া এ রাজ্যের বাসিন্দারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Lockdown