কলকাতা: আশা ছিল ২০০ আসনের। কিন্তু তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৭-এ। বাংলার ভোট কার্যত ভরাডুবিই হয়েছে BJP-র। সে অর্থে স্বপ্নভঙ্গই হয়েছে BJP-র। কিন্তু ফল পরবর্তী বাংলায় যে অশান্তি চলছে, তাতে তাঁদের দলের বিধায়করা নিরাপত্তার অভাব করছেন, এমনই যুক্তি দেখিয়ে রাজ্যে তাঁদের ৭৭ বিধায়ককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা (Central Security) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। যদিও পরে নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় বর্তমানে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ৭৫। কিন্তু সূত্রের খবর, অন্তত পক্ষে ১৫ জন বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে চাইছেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। বিজেপির তরফে অবশ্য আগেই জানানো হয়েছিল, কেউ চাইলে নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। বাস্তবে হলও তাই।
বাংলায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেও সফল হয়নি। কিন্তু তারপর রাজ্যের 'পরিস্থিতি' নিয়ে জাতীয় স্তরে সরব হয়েছে বিজেপি। সেই কাজে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একের পর এক ট্যুইট। এমনকী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে দলের সকল বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপিও দেখাতে চাইছিল, জনপ্রতিনিধিরাও বাংলায় নিরাপদ নন। কিন্তু বিজেপির বহু বিধায়কই সেই নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করায় দলের অন্দরেই অস্বস্তি দানা বেঁধেছে।
কিন্তু কেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিলেন না ওই বিজেপি বিধায়করা? জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিলে তাঁদের থাকা-খাওয়া, ভরনপোষনের সমস্ত দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট বিধায়ককেই নিতে হবে, তাঁদের শরীরচর্চার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কিন্তু বহু বিধায়কের বাড়িতেই এমনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার পরিকাঠামো নেই। কেন্দ্র একেকজন বিধায়ককে চারজন করে নিরাপত্তারক্ষী দেবে। তাঁদের রাখার ব্যবস্থা, বিশেষত এই করোনা-কালে প্রায় অসম্ভব অনেকের কাছেই। প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তার কারণে একসময় তাঁকে নিউ টাউনে বিরাট ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে হয়েছিল।
আবার অন্য একটি দিকও আছে, অনেক বিধায়কই বলছেন, 'আমাদের সঙ্গে না হয় কেন্দ্রীয় জওয়ানরা থাকবেন, কিন্তু নীচু তলার কর্মীদের কে বাঁচাবে? ওঁরা মার খাবে, আর আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরব, এটা হয় না।' এই কারণেও অনেক বিধায়কই নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করছেন বলে খবর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেছেন, 'যাদের নিরাপত্তা দরকার তারা আবেদন করেছিল। কিন্তু অনেকে আছেন তারা আবেদন করেননি।' দিলীপ বাবুও বলেছেন, অনেকের বাড়িতে সিকিউরিটি রাখার জায়গা নেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP