হোম /খবর /কলকাতা /
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের মৃত্যু, অভিযোগের আঙুল CESC -র দিকে

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের মৃত্যু, অভিযোগের আঙুল CESC -র দিকে, বিদ্যুৎ বিল নিয়েও ক্ষোভে ফুটছে মানুষ

Photo- Representative

Photo- Representative

CESE পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহক, লকডাউন পর্বে বহুগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল তারওপর তাদের অপদার্থতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা:   বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু শ্যামল দে নামে এক ব্যক্তির। রবিবার  সন্ধ্যার পর থেকে কলকাতায় বেশ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি অনেক রাত পর্যন্ত পড়তে থাকে। কলকাতার অলিগলি থেকে আরম্ভ করে রাজপথ জলের তলায় চলে যায়। রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ শ্যামল দে নামে এক ব্যক্তি মানিকতলা ,সাহেব বাগানে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় সিইএসসির বিদ্যুৎ স্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার।   ঘটনার পরেই মানিক তলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পুলিশ নিজেদের উদ্যোগে ওই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্তম্ভটির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে । পরে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।   ঘটনাটি, গতকাল রবিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটেছিল। সোমবার দিন সকালবেলা ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বিদ্যুৎ সংস্থা সি ই এস সির ওপর ক্ষোভের পারদ চড়ছে।

ওই বস্তি এলাকায় বেশিরভাগ রাস্তার বা গলির বাতিস্তম্ভ গুলো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।প্রত্যেকটি লোহার বাতিস্তম্ভর মাথায় বিদ্যুতের তার জোড়া রয়েছে। কোথাও কাটা অবস্থায়।যেকোনো মুহূর্তে সেখান দিয়ে বৃষ্টির সময় অথবা যেকোনো সময় স্তম্ভ গুলো তড়িৎ স্পৃষ্ট হতে পারে মানুষ৷

সেই জায়গায় ছোট ছোট শিশুরা ওই স্তম্ভ ধরে খেলাধুলা করে ,তাই বড় বিপদের আশঙ্কা দেখছেন স্থানীয়রা।   সাহেব বাগান বস্তির কুমোরপাড়া এলাকাতে, পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। এই সমস্ত বাতিস্তম্ভ নিয়ে ছয় মাস আগে থেকে বস্তির লোকেরা সিইএসসি অফিসে অভিযোগ জানিয়েছে বলে দাবি করেন। এখনও পর্যন্ত ওই বিদ্যুৎ সংস্থার পক্ষ থেকে কোনকিছুই ঠিকঠাক করা হয়নি। অসুরক্ষিত রয়েছে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

স্থানীয়দের দাবি গতকাল, এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকে, এখনও পর্যন্ত সিইএসসি কর্তৃপক্ষ খোঁজখবর নিতে আসেনি। এমনকি সারা এলাকায় বিদ্যুতের তার মাকড়শার জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে। এর আগেও কলকাতায় এই বিদ্যুৎ সংস্থার বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে অনেক বস্তি পুড়েছে, আগুন জ্বলেছে এবং মানুষ মারাও গেছে। এলাকার মানুষের দাবি ,শহরে একটি মাত্র সংস্থা হওয়ার জন্য তারা নিজের ইচ্ছায় নির্দ্বিধায় যথেচ্ছাচার করে যাচ্ছে।   অনেকেই মনে করছেন শহরে সিইএসসির আরেকটা প্রতিযোগী আসার দরকার। কারণ এই সংস্থা,লকডাউন এর সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে তিনগুণ, চারগুণ, এমনকি আট গুণ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুতের বিল নিচ্ছে। সেই জায়গায় গ্রাহকরা অভিযোগ জানালে ,তাদেরকে রীতিমত ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ওই বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মীরা।

Sanku Santra

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Electricity