#কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে হালফিলে অন্যতম বড় চমক। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা যশবন্ত সিনহা দল বদলে এলেন তৃণমূলে। আর তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি যেন আরো বড় চমক দিলেন। তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিয়ে তাঁর একখানা বয়ান মমতা সম্পর্কে দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। জাতীয়তাবাদের যে তাস বিজেপি খেলছে তা এবার তৃণমূলের হাতে আসতে পারে। যশবন্ত সিং এদিন ১৯৯৯ সালের কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের কথা তুললেন। তার পরই বললেন, ''সেবার মমতা নিজেকে জঙ্গিদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। ও চেয়েছিল, জঙ্গিরা যাতে ওকে বন্দি রেখে যাত্রীদের মুক্তি দেয়।''
সাম্প্রতিক সময় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেশাত্মবোধ ও স্বার্থত্যাগ নিয়ে এত বড় সার্টিফিকেট কেউ দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় অটল বিহারী বাজপেয়ি সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন। যশবন্ত সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুজনেই সেই সময় মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। যশবন্ত সিনহা সেই সময় ছিলেন অর্থমন্ত্রী। এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ''মমতা নিজেকে তালিবানি জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি রাখতে চেয়েছিল। তার বদলে যাত্রী ও বিমানের পাইলটদের মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছিল। দেশের জন্য নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রাখতে পিছপা হয়নি ও। নিজের পরিণতির কথা মমতা ভাবেনি। তবে সরকার শেষমেশ ওর প্রস্তাব মানেনি।''
বিজেপি ছেড়েই মোদী-শাহ জুটির সমালোচনা করেছেন যশবন্ত সিং। কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী দাবি করেছেন, বাজপেয়ির আমলে সবার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হত। কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে মন্ত্রিসভার প্রত্যেকের মতামত গ্রহণ করা হত। কিন্তু এখন সেসবের বালাই নেই। এখন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। এদিন যশবন্ত সিং এটাও স্পষ্ট করেছেন, তিনি ভোটে দাঁড়াতে তৃণমূলে যোগ দেননি। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ে সামিল হতে চেয়েছেন।