#কলকাতা অভিষেকের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। কয়লা পাচার নোটিস দেওয়া হয়েছে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। তৃণমূল বলছে গোটাটাই বিজেপির সাজানো চিত্রনাট্য। বিষয়টি অবতারণা না করে, বিজেপির নাম না নিয়েই এবার আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষা দিবসের মঞ্চে তাঁর মুখেও শোনা গেল, 'খেলা হবে'।
এ দিন ভাষাদিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক ভাবে সুর চড়ান বাংলা নামের সপক্ষে। বারংবার বলেন, বাংলা ভাষা তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁর "কথায় ভাষাটা বাংলা। আমায় শিখিয়েছে বাঘের বাচ্চার মতো লড়বি।" ক্রমেই চড়তে থাকে পর্দা। তিনি বলেন, "বন্দুকের সামনে লড়াই করেছি। ওই সব নেংটি ইঁদুর দেখিয়ে লাভ নেই।"
তাঁর দল ইতিমধ্যেই বলেছে, এটা প্রত্যাশিত, অভিষেক নিজেও ট্যুইট করে বলেছেন ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মমতা সরাসরি কোনও কথা না বলে ছু়ড়ে দিলেন প্রত্যক্ষ চ্যালেঞ্জ। মমতা বলেন, "আসুন না একেবারে দেখি ২১ শে চ্যালেঞ্জ হোক। একটাই খেলা হবে। আমি হব গোলরক্ষক। আমাকে ধমকে চমকে লাভ হবে না, যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে ভয় পাব না। আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়...আমায় জেলে পাঠালে আমি জেল থেকে ডাক দেব বঙ্গবন্ধুর মতো জয় বাংলা। আমায় হারাতে আমায় পারবে না।"
এ দিন দুপুর দুটো পাঁচ মিনিট নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় সিবিআই। অনুপ মাজির ব্যাঙ্ক লেনদেনের সূত্র ধরে কয়লা কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিলেন সিবিআই প্রতিনিধিরা। তিনি বাড়ি না থাকায় নিজাম প্যালেসে ফিরে আসেন সিবিআই কর্তারা। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একাংশ মনে করছে শুভেন্দু অধিকারী আগেই এই চিত্রনাট্য়ের আভাস দিয়েছিলেন, কাজেই এই ঘটনা সিবিআই-এর রাজনীতিকরণ। কেউ কেউ আবার বলছেন অমিত শাহকে সমন পাঠানোর পাল্টা প্রত্যাঘাত এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন উক্ত সভা থেকে আরও একবার বাংলা নামের দাবি তোলেন। কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রের শাসক দলের প্রতিনিধিদেরও। তিনি বলেন, "আমি বাংলা নাম করতে চেয়েছিলাম রাজ্যের। বিধানসভায় পাশ করে পাঠালাম। তার পরেও ৪ বছর হয়ে গেল।যারা বাংলাকে নিয়ে সুড়সুড়ি দেয়, যারা গঞ্জনা করে তাঁরা কিন্তু দেখলেন না।"