#কলকাতা : আড়াই দশকেরও বেশি সময়। তবু ১৯৯৩-র সেই দিনটার কথা বলতে গেলে আজও চোখের কোণে জল চিক-চিক করে ওঠে! আগল মানে না মনের আবেগ। কসবার সুইন হো লেনের রায় পরিবার ডুবে যায় বিষন্নতার অন্ধকারে।
১৯৯৩-র ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন বছর পয়ত্রিশের প্রদীপ রায়। সেই অভিশপ্ত দিনের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও গলার কাছে দলা পাকিয়ে হারিয়ে যায় শব্দ। কথা হারিয়ে ফেলেন প্রয়াত প্রদীপ রায়ের স্ত্রী মিনতি রায়ের। মাঝে কেটে গিয়েছে ২৮ টা বছর। কসবার রায় পরিবার তবু ভুলতে পারে না অভিশপ্ত ওই দিনটা।
প্রত্যেক বছর ২১ জুলাই প্রিয় মমতাদির সঙ্গে দেখা হলে তাঁর সঙ্গে দুটো কথা বলে স্বজন হারানোর সান্ত্বনা খোঁজেন ওরা। কিন্তু এবার যে কোভিড পরিস্থিতিতে সেটাও সম্ভব নয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে ২০২১-র একুশে জুলাই। দেখা হবে না প্রিয় মমতাদির সঙ্গেও! প্রিয়জনকে হারানোর বেদনার মাঝে আরেক প্রিয়জনকে না দেখার যন্ত্রণা!
শহিদ পরিবারের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রীর চিঠি৷
১৯৯৩-র মহাকরণ অভিযানে ১৩ শহিদের অন্যতম প্রদীপ রায়ের মেয়ে দীপার বয়স তখন ছিল বড়জোড় আট বছর। মধ্য তিরিশের দীপা মঙ্গলবার বলছিলেন, 'আমার জীবনে বাবা-ই ছিল সব। একটা সময়ে মনে হয়েছিল এবার হয়তো সব শেষ। মমতাদি বট গাছের মতো পরিবারের মাথার উপরে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিপদে-আপদে খবর নিয়েছেন। আগলে রেখেছেন অভিভাবকের মতো। বছরের এই দিনটা মমতাদির সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো! স্বজন হারানোর ক্ষততে খানিকটা প্রলেপ পড়ত। এবার তো সেটাও সম্ভব হবে না।'
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ দোলা সেন সোমবার বাড়ি এসে দেখা করে গিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে গিয়েছেন শহিদ পরিবারের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠির সঙ্গে প্রত্যেক বারের মতো রায় পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছেন শাড়ি, নীল সাদা উত্তরীয়। নিজের সই করা চিঠিতে এবার দেখার না হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায় পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আগামী বছর সর্ববৃহৎ সমাবেশ করে শহিদ স্মরণে মা-মাটি-দিবস পালন করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: 21 July, Mamata Banerjee, TMC