#কলকাতা: সাইকেল নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে এলেন মালদহের ছোট্ট সায়ন্তিকা। কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দুই দিদি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কৃতজ্ঞ ইংরেজবাজারের দাস পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে তাই মাত্র আট বছর বয়সেই সাইকেল চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস। বাড়ির ছোট মেয়ের এই ইচ্ছাশক্তিকে সর্বতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। কিন্তু এত ছোট বয়সে কীভাবে সাইকেল চালিয়ে সুদূর কলকাতার কালীঘাটে যাবে খুদে পড়ুয়া? তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয় মালদহের জেলা শাসকের সঙ্গে। শেষমেষ মালদহ জেলা প্রশাসন গৌড় এক্সপ্রেসে টিকিট কেটে দেয় সায়ন্তিকার৷ সঙ্গে যদিও সাইকেল ছিল। তবে বিতর্ক এড়িয়ে শুরু থেকেই ছোট মেয়ের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকালেই গৌড় এক্সপ্রেসে চেপে শিয়ালদহ স্টেশনে আসেন সায়ন্তিকা। সেখান থেকেই সাইকেল চালিয়ে সোজা কালীঘাটের বাড়িতে আসে খুদে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আমসত্ত্ব তুলে দেয় খুঁদে পড়ুয়া সায়ন্তিকা। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনাপল্লী এলাকায় এক চিলতে টালি এবং পাকা দেওয়ালের বাড়িতে থাকে সায়ন্তিকা। বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়ির চালক। সায়ন্তিকার মা উমা দাস গৃহবধূ। টানাটানির সংসারে শিক্ষার খরচ চালানো বাতুলতা। তবে আগাগোড়াই পড়াশোনার ইচ্ছা ছিল সায়ন্তিকার দুই দিদির। সেই সময় খুবই কার্যকর হয়েছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী প্রকল্প। সায়ন্তিকার বড় দিদি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ছোটদিদি পড়েন কলেজে। শুধু কন্যাশ্রীই নয়, রূপশ্রীর মাধ্যমে প্রদীপবাবুর বড় মেয়ের বিয়েও হয়েছে।
অর্থের অভাবে আর পড়ালেখা আটকাবে না সায়ন্তিকার। দিদিদের দেখে বুঝেছে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি। তাই মন দিয়ে এখন পড়াশোনা করতে চায় সে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করেন, বড় হয়ে সে কি হতে চায়? উত্তরে সায়ন্তিকা জানিয়েছে, আইএএস অফিসার। সায়ন্তিকার মা উমা দাস জানিয়েছেন, তিনি নিজের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে উচ্চশিক্ষা করতে পারেননি। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। আর্থিক কারণে তাঁর মেয়েদের পড়াশোনারও মাঝপথে সমাপ্তি ঘটত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। তাঁর ছোট মেয়ে সায়ন্তিকা তাই দিদির ভক্ত। ছোট মেয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী, তার সঙ্গে তাঁরাও এসেছিলেন দিদির কালীঘাটের বাড়িতে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ সময় কথা বলেন সায়ন্তিকার সঙ্গে। তার হাতে তুলে দেন উপহার। দিয়েছেন চকোলেট, বই। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে পড়াশোনা সংক্রান্ত যা-যা সাহায্য দরকার, তা রাজ্য সরকার করবে বলে জানানো হয়েছে।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mamata Banerjee