#কলকাতা: নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানি আপাতত সাতদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আগামী বৃহস্পতিবার হবে নন্দীগ্রাম মামলার পরবর্তী শুনানি ৷ বিচারপতি জানিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় আদালতে মামলাকারীর হাজিরা বাধ্যতামূলক ৷ হাজির না হলেও আদালতে যথাযথ কারণ দেখাতে হয় ৷ সেই সূত্রে মমতারও আদালতে হাজির হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখালেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। কিন্তু কেন? নন্দীগ্রাম মামলায় বিচারপতি হিসেবে কৌশিক চন্দ দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডেরেক ও ব্রায়েন, কুণাল ঘোষের মতো নেতারা বেশ কয়েকটি ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির লিগাল সেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন কৌশিক চন্দ। সেখানে তাঁকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশেও বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আবেদন করেছেন, এই বিষয়টির মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি অন্য বেঞ্চে করা হোক।
আর এবার সেই বিষয়টি তুলে ধরে কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশের দাবি, বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি-র ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। আর এদিন তাঁর এজলাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলাটি উঠতেই মুখে কালো মাস্ক এবং হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না’। সংবাদমাধ্যমের সামনেও তাঁরা ওই মামলা থেকে বিচারপতি চন্দকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।
With due respect to Judiciary: Justice Kaushik Chanda. He has been assigned to hear the Nandigram Case.@MamataOfficial @abhishekaitc @AITCofficial @nandigram pic.twitter.com/c5PD6Jm4jm
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 18, 2021
যদিও হাইকোর্টের বর্ষীয়াণ আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, 'এই ধরনের কাজ সংবিধান বিরোধী মনোভাব। একজন মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন, বিচারপতির কাছে সঠিক বিচার পাবেন না, তাহলে তো সাধারণ মানুষ বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে। এরপর তো যে কেউ এসে বলবে, এই বিচারপতিকে চাই না, অন্য এজলাসে মামলা পাঠানো হোক।'
তবে, এদিন বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুন হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হবে ৷ নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী ৷ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০ এবং ১২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ আদালতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুষ দিয়েছেন। প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েছেন এবং বুথ দখল করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।