#শ্রীরামপুর: স্বরূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হুগলির ভোট প্রচারে এসে তিনি স্বরূপের কাজের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন। তবে এই স্বরূপ সুরুচির স্বরূপ নন। এই স্বরূপ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী স্বরূপ গোস্বামী।
এ দিন শ্রীরামপুরের সভায় এসে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ দেখে মুগ্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে খেলা হবে গানের সাথে মহিলাদের নাচ নজর কেড়েছে এই সভায়। সভায় বক্তব্য শেষের পরেও, তাই মমতা বন্দোপাধ্যায় মাঠেই হাজির থাকতে চেয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, শ্রীরামপুর আমার বরাবর ভালো লাগে। এখানে সভা করতে এসে চা না খেয়ে আমি কিন্তু যাব না। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, স্বরূপের বউ আমাকে গতবার চা খাইয়েছিল। এবার কেউ তো আমায় এক কাপ চা দিলো না। মঞ্চে সেই সময় ছিলেন দুই প্রার্থী ডাঃ সুদীপ্ত রায়, অরিন্দম গুঁইন। হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। চা কে নিয়ে আসবে তা নিয়ে যখন চর্চা শুরু, তখনই চা চলে আসে মঞ্চে।
সেই সময়েই স্বরূপের প্রশংসা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'স্বরূপ আমার সিকিউরিটি বটে, তবে ও আমাকে সব সময় আগলে রাখে। এই যে আমি এখন হাঁটাচলা করতে পারছি না। সবটাই করে দিচ্ছে স্বরূপ-দ্বিবেদী এরা। প্রসঙ্গত, স্বরূপ-দ্বিবেদী এরা দু'জনেই দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এ দিন তাদের প্রশংসাই শোনা গেল মমতার গলায়।
স্বরূপ গোস্বামী অবশ্য শুধুই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা রক্ষী নন। তাঁর বাবা ছিলেন বিধায়ক। মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন পুরনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা জানান, অরুণ গোস্বামী মারা যাবার পরে তিনি শ্রীরামপুরে তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের মতে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগার পরে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আবার ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অবস্থায় নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের উপর কিন্তু অটুট আস্থা দেখালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।