ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে দুদিন ধর্নায় বসতেও দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিল্লি দরবার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার রীতিমত ইউপিএ আমল থেকে মোদি সরকার আমলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আর্থিক বছরের বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিম্বা তাঁর দলের নেতারা যতই কেন্দ্র বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগের সুর চড়ান না কেন কংগ্রেসী আমল থেকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে মোটেই বঞ্চনা করছে না। ইউপিএ আমল থেকে মোদি সরকার বর্তমান রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা বহুগুণ বেশি দিয়েছে'। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকার সঠিক হিসেব দিলে বাংলার জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র। কিন্তু যদি সেই টাকা পুকুর চুরি করা হয় সে ক্ষেত্রে বাংলা সরকারকে আর এক টাকাও দেবে না কেন্দ্র বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির সেনাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ' ১০০ দিনের কাজে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের জন্য রাজ্য পেয়েছিল ১৪৯৮৫ কোটি টাকা। তারপর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকার বরাদ্দ পেয়েছে ৫৪১৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যেখানে ইউপিএ আমলে২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে ১৮৫৪.৭৮ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। সেখানে মোদি সরকারের তরফে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২৯৬৩৪ কোটি টাকা পেয়েছে মমতার সরকার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে যেখানে ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ৩৫২৫ কোটি টাকা পেয়েছে মমতার সরকার সেখানে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মোদী সরকারের তরফ থেকে মমতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে ৬১৯০.৭২ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই বাংলার বরাদ্দ কংগ্রেস তথা ইউপিএ আমল থেকে মোদি সরকারের আমলে বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে বলে দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর হিসেব অনুযায়ী, ইউপিএ আমলে যেখানে মমতার সরকার নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে ২৮ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিল। সেখানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য ১,৯৩,৩২৪.৭৬ কোটি টাকা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার এই বিপুল পরিমাণ টাকার খরচের ক্ষেত্রে অনিয়ম আর দুর্নীতি করেছে'।
সুকান্ত মজুমদারের কথায়,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিম্বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসক দলের নেতাদের তাই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া মানায় না। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছিলেন আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি দরবার করেছিলেন'।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mamata Banerjee