#কলকাতা: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বুধবার পর্ষদ নিয়োগের জন্য নোটিশ জারি করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি থেকে ইন্টারভিউ নেওযা শুরু হবে, চলবে ১৭ তারিখ অবধি ৷ একইসঙ্গে ৩১ জানুয়ারি অফলাইনে তৃতীয় টেট হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরীক্ষা দেবেন প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী ৷
অবশেষে প্রাথমিকের টেট কবে নেওয়া হবে সেই বিষয় দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন " আগামী ৩১ জানুয়ারি তৃতীয়বারের টেট নেওয়া হবে। টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হবে অফলাইনে। এর আবেদন আড়াই লক্ষ জমা পড়েছে।" তবে শুধু প্রাথমিকের টেট এর দিন ঘোষণা নয়, এদিন ইতিমধ্যেই টেট উত্তীর্ণদের কবে থেকে নিয়োগ হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন " আগামিকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে নিয়োগের।১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ হবে।"
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞাপন দেয় টেট নেওয়ার। সেই বিজ্ঞাপন মেনে ২০১৫ সালে নেওয়া হয় টেট এবং ২০১৬ সালে সেই টেটের ফল প্রকাশ করা হয়। সেই টেট এর ফল প্রকাশের পরেও অনেক টেট প্রার্থীরাই বসে ছিলেন। এই টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকেই ১৬৫০০ শূন্য পদ পূরণ করা হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছিলেন এই শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করা হবে। সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আবারো আবেদনপত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।
বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর অবধি ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ও এনসিটিই-র বিধি মেনে প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য বৈধ শংসাপত্র রয়েছে, এমন ৩১ হাজার প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে তাঁদের নথি যাচাইয়ে আবেদন করেছিলেন।টেট উর্ত্তীন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অর্থাৎ বিএড এবং d.el.ed দুই প্রশিক্ষণই রয়েছে এমন প্রার্থী প্রায় ৩১ হাজার আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। তাদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। জানা গিয়েছে আগামী কালই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাচ্ছেন।
অন্যদিকে ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নতুন করে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে। আবেদনপত্র তোলা এবং জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া হলেও পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না স্কুল শিক্ষা দপ্তর। পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ একাধিক কারণে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়ার ছিল না বলেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন প্রাথমিক টেট নেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকের তৃতীয়বারের জন্য টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়ার দিন ঘোষণা করলেন। তবে করণা পরিস্থিতিতে কীভাবে এই টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হবে তা নিয়ে একাধিক জারি করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে কতজন করে পরীক্ষার্থী বসবে তার পাশাপাশি বাড়ির কাছাকাছি পরীক্ষাকেন্দ্র রাখা সহ একাধিক নির্দেশিকা দিতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলেই জানা গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Primary Teacher