#কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ফলে দলের সঙ্গে শুভেন্দুর আলোচনা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল ৷ ইস্তফাপত্র গ্রহণের আগে একবার হয়তো শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসা হতে পারে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল ৷ অন্যদিকে, আরেকটি সূত্রের দাবি, ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের জন্য তৃণমূলেক তরফ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও নিজ সিদ্ধান্তে শুভেন্দু অধিকারী অনড় থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ইস্তফাপত্র গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা ৷ রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ৷ আজই দফতর বণ্টনের সম্ভাবনা ৷ দলীয় সূত্রে খবর, সেচমন্ত্রী হতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবহণমন্ত্রী হতে পারেন ফিরহাদ বা অরূপ বিশ্বাস ৷ আলোচনা হবে শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷
বার্তা দিয়েছে দুশিবিরই। বৈঠক হয়েছে বার কয়েক। কিন্তু, বরফ গলেনি। শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ধাপে ধাপে শুভেন্দু যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল বুধবার। ২৫ নভেম্বর HRBC থেকে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু ৷
সংগঠক হিসেবেও শুভেন্দুকে নিয়ে কোনও সংশয় নেই দলের মধ্যে। ফলে তাঁকে ছাড়া আগামী বিধানসভা ভোটে লড়াই করতে হলে, সেটা যে চিন্তার কারণ হতে পারে সেই বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসেও। ফলে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা চাইছেন শুভেন্দুর মন বোঝার শেষ চেষ্টা করতে। যদিও দলের অপর একটি সূত্রের খবর, শুভেন্দু দল ছাড়তে পারেন এমন ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। তাই দলও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এভাবে শুভেন্দুর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় তৃণমূল শিবিরও চিন্তিত।