#কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই চালু জয় হিন্দ সেতু। যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই নয়া মাঝেরহাট সেতুটি ৷ বিকেল ৫টায় সেতুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে পুরো সেতু পরীক্ষা করে দেখেন পূর্ত দফতর ও নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সেতু চালু হয়ে গেলে বাড়বে কলকাতার গতি। কমবে বেহালা ও দক্ষিণের মানুষের যানজটের যন্ত্রণা। যানজট থেকে রেহাই পাবেন বেহালা, নিউ আলিপুর, চেতলা এলাকা। তবে মাঝেরহাট নয়া সেতু চালু হলেও থাকবে বেইলি ব্রিজ। উদ্বোধনের আগে রুপালি গোলাপি-সাদা আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ। সূত্রের খবর, ব্রিজের মাঝের অংশে বাহারি ফুলের টব থাকবে। তবে টবের ওজন সেতুর মুল কাঠামোর ওপর এসে পড়বে না। মাঝেরহাট সেতু চালু করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা আর রইল না।
গত সপ্তাহেই রেলের তরফে প্রয়োজনীয় ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরকে। মুখ্যমন্ত্রী নতুন ব্রিজের নাম দিয়েছেন জয় হিন্দ ব্রিজ। গত শুক্রবারই মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করা নিয়ে যাবতীয় জটিলতার অবসান হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে ট্যুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পূর্ত দফতর প্রয়োজনীয় সেফটি সার্টিফিকেট জমা করার অল্প সময়ের মধ্যেই রেল সেতু চালু করা নিয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। এই ব্রিজ জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত। ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা এস পি সিংলা কনস্ট্রাকশন এই কেবল স্টেইড সেতু বানিয়েছে। ৬৩৬ মিটার এই সেতু দাঁড়িয়ে আছে পুরো কেবলের উপরে। গত বৃহস্পতিবার মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে আন্দোলনে নামে বিজেপি। তারাতলা মোড়ে তাদের বিক্ষোভের জেরে রাজনৈতিক আঁচ গড়ায় অনেক দূর পর্যন্ত। নবান্ন থেকে পূর্ত মন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, কবে কবে আবেদন জানানো হয়েছে। কত দিন পরে অনুমতি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান, রেলের জন্যেই সেতুর উদ্বোধনে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও রেল দাবি করে সেতু নিয়ে পূর্ত দফতর কাজ শেষের পরে ফিট সার্টিফিকেট জমা করেনি। যে কারণেই সেতু চালুর জন্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে পারছে না রেল। রেল সূত্রে খবর, গত শুক্রবারই নবান্ন থেকে ফিট সার্টিফিকেট পাঠানো হয়। তড়িঘড়ি সেই সার্টিফিকেট দেখে অনুমোদন দেয় রেল। প্রথা এবং আন্তর্জাতিক কোড মেনেই সেতুর ভার বহন সক্ষমতা যাচাই করেছে নির্মাণ সংস্থা ও পূর্ত দফতর। সেতুর কেবলের টিউনিং অর্থাৎ সংকোচন-প্রসারণ দেখা হয়েছে। এছাড়া সেতুর নিজস্ব ওজন যাচাই বা ডেড লোড পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেতুর ওপর বিভিন্ন ওজনের গাড়ি চালিয়ে ও দাঁড় করিয়ে রেখে সেতুর শক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। যাতে সেতুর কম্পন বোঝা গিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা শেষ। অনুমতি এসে গিয়েছে রেলেরও। এখন শুধু বিকেলে চালুর অপেক্ষায় নয়া মাঝেরহাট ব্রিজ।
আবীর ঘোষাল