#কলকাতা: কেমন হল মাঝেরহাট সেতুর নির্মাণ কাজ। সিঙ্গাপুর থেকে বসে পরীক্ষা করবে নির্মাণ সংস্থা। সেই কারণে ইতিমধ্যেই একাধিক সেন্সর বসানো হয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজে। অন্যদিকে তিন দিন আগেই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্যে মনিটরিং সিস্টেম বসানো হয়েছে। এই কাজ করার জন্যে ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের তরফ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরকে। নয়া মাঝেরহাট সেতু হচ্ছে কেবল স্টেইড। প্রায় ৬৫০ মিটার লম্বা। এই সেতুর ২২৭ মিটার অংশ জুড়ে ধাতব কেবল ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে। যে অংশ কেবল দিয়ে টেনে রাখা আছে, তার নীচে রয়েছে প্রায় ১০০ মিটার অংশ জুড়ে রেলের লাইন। রেল লাইনের ওপরে সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা, একইসাথে ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপরে সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা পরীক্ষার জন্যে বসানো হয়েছে এই সেন্সর।
নয়া সেতুর কোথায় কত চাপ পড়ছে। কতটা ভার বহন করতে পারছে, এর সবটাই দেখা হবে এই সেন্সর মারফত। বিশেষ করে সেতুর বেয়ারিং পরীক্ষা করে দেখা হবে তা কতটা ভার বহনের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে।ইতিমধ্যেই মাঝেরহাট ব্রিজের কেবল বসানো, ক্র্যাশ ব্যারিয়ার ও বিটুমিন কংক্রিট কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। রাজ্যের পূর্ত দফতর সূত্রে খবর এই সেতু ৩৮৫ টন পর্যন্ত ভার বহন করতে পারবে। ফলে সেতু পূর্ণ মাত্রায় চালু করার আগে সব কিছু ভাল করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই সেতুর কাজ দেখতে যাচ্ছেন পূর্ত মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।
আপাতত ২৫ নভেম্বর অবধি দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত সময়সীমা। সিঙ্গাপুর থেকে সেন্সর মারফত কাজ পরীক্ষা করতে সময় লাগবে প্রায় ৩ দিন। এছাড়া সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করতে সময় লাগবে আরও দিন তিনেক। সেতু নির্মাণের সাথে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বড় লরি বা ডাম্পারে লোড চাপিয়ে সেতু পরীক্ষা করা হবে। এক্ষেত্রে সেতুর কেবল ভার বহনের সময় কতটা সঙ্কোচিত, প্রসারিত হচ্ছে তা দেখে নিতে পারবে। সেতুর এই অবস্থা ৫ মিলিমিটারের মধ্যে থাকলে সেতু ব্যবহার করা যাবে বলে জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নতুন বছর শুরুর আগেই এই সেতু যান চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bridge, Kolkata News