#কলকাতা: নিজের হাতে থালা সাজিয়ে খাবার তুলে দিলেন মদন মিত্র। শুধু দুপুরের খাবার নয়। ছিল মিষ্টি মুখের ব্যবস্থাও। মদন মিত্র বলছেন, বাঙালির হৃদয়ে পান্তুয়া। তাই তিনি এই মিষ্টিই বেছে নিয়েছেন। চোখে কালো রোদ চশমা। গায়ে ফুল স্লিভ শার্ট। তার ওপরে সাদা জ্যাকেট। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফের লাইভে এলেন মদন মিত্র।এ দিন তিনি অবশ্য হাজির হয়েছিলেন টালিগঞ্জের পঞ্চাননতলায়। নিজেই থালায় সাজিয়ে দিলেন ভাত, ডাল, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি আর পান্তুয়া।
গত ২৬ দিন ধরে এই এলাকায় তৃণমূল যুব, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পথচলতি মানুষদের খাবার খাওয়াচ্ছে। এ দিন তাতে হাত লাগাতেই হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র। তবে শুধু খাবারের বিবরণ নয়। মদন মিত্র এলাকায় দাঁড়িয়ে নিজের কলেজ জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। সিপিএমের তাড়া খেয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে কোন রাস্তা ধরে এই এলাকায় পালাতেন। সেই সব রাস্তার বিবরণ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনিও যে সাহায্য করতে চান এদিন সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসে তা জানিয়েছেন মদন মিত্র।
এ দিন অবশ্য লাইভে অল্প সময় ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ ছিলেন মাত্র ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড৷ আর তাতেই ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের কাছে পৌছে গেছেন তিনি। আর এই অল্প সময়েই মদন দা'র সাথে খাবার খাওয়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কয়েক হাজার অনুগামী। বিকেল ৩টে নাগাদ কামারহাটি পুরসভায় বৈঠক ছিল মদন মিত্রের৷ পুরসভা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই বৈঠকে যোগ দেন কামারহাটির বিধায়ক৷
গত সোমবার ৭ জুন কামারহাটি পৌরসভাতে সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়, বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস রায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং কামারহাটি পৌরসভার পৌর প্রশাসক গোপাল সাহা সহ ৩৫ জন পুর প্রশাসক পৌরসভার অন্তর্গত ৩৫ টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, কামারহাটির পুর প্রশাসক করা হোক তাকে এই বিষয়ে ফেসবুক লাইভ করেন মদন মিত্র। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্দেশ দেন মদন মিত্র-গোপাল সাহাকে নিয়ে বসে আলোচনা করতে। এদিন সেই কাজ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠক শেষেমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে কথা হয়েছে। পরিকল্পনা করা হয় জল নিকাশি এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা নিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Madan Mitra