#কলকাতা: ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ কিন্তু সেই বৈঠকের পরেও কাজের লোকদের সরিয়ে কাছের লোকদেরই বৈঠকে ডাকার অভিযোগ উঠল রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে৷
বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকে গরহাজির থাকলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর মতো তিনজন সাধারণ সম্পাদক৷ রাজ্য বিজেপি-র পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদক শুধু হাজির থাকলেন দু' জন- জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং দীপক বর্মন৷ যাঁরা সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত৷
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে সিন্ডিকেট নিয়ে তুমুল মারামারি, পুলিশ ডাকলেন সৌগত! আক্ষেপ সাংসদের
কলকাতায় থাকলেও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাংসদ এবং নেত্রী কেন বৈঠকে অনুপস্থিত, তা নিয়ে প্রশ্ন করায় দৃশ্যতই মেজাজ হারিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ তাঁর কথায়, 'আমাদের দলে সবাইকে সব বৈঠকে ডাকা হয় না৷ যাঁদের যে কাজে প্রয়োজন, তাঁদের সেই অনুযায়ী ডাকা হয়৷' লকেটের মতোই এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও৷ আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে হারের পর দলের সংগঠন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অগ্নিমিত্রা৷ ফলে এ দিন তাঁর অনুপস্থিতিও অনেকের চোখে পড়েছে৷
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রশংসায় জিতেন্দ্র! চাপে পড়তেই ভোলবদল
দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের অভিযোগ, দলের রাজ্য নেতৃত্ব এখন কাজের লোকের তুলনায় কাছের লোকদেরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ যে কারণ পুরনো, অভিজ্ঞ নেতাদের সরিয়ে নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার নাম করে অনুগতদের বিভিন্ন পদে বসানো হচ্ছে৷ প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে দলীয় পদ বণ্টন- সবক্ষেত্রেই এই ফর্মুলাই প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, এই সব অপরিণামদর্শী, অযোগ্য নেতৃত্বের জন্যই আজ দল একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার। আর, সে কারণেই তাঁরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। প্রতিবাদে দলীয় পদ থেকে অনেকে ইস্তফাও দিয়েছেন।
কিন্তু দলের এই ক্ষোভ, বিক্ষোভ কে সামাল দিতে কেন্দ্রের নির্দেশে রাজ্য নেতৃত্ব যখন বৈঠকে বসল, তখনও সেই 'দলবাজি' ও 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের' অভিযোগই সামনে চলে এলো৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, Locket Chatterjee