#কলকাতা: আনলক' প্রথম দিন। ১লা জুন সকাল থেকে কলকাতার শহরজুড়ে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব মানা স্বাস্থ্যবিধি মানা সবই শিকেয় ওঠে। সবাই ফিরে যায়, আড়াই মাস আগেকার দৈনন্দিন জীবনে। কোন ধর্মীয় স্থানে জমায়েত কিংবা একসঙ্গে অনেকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হওয়া সম্পূর্ণরূপে বারণ করা আছে। সেটা মানছে কে? সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে সমস্ত কাজ।
সকালবেলা আহিরীটোলা ঘাটে গিয়ে দেখা গেল গঙ্গা স্নানে মানুষের ঢল নেমেছে। কাউকে জিজ্ঞাসা করতে বলল সে সত্তর দিন পর গঙ্গায় স্নান করছে, আবার কেউ বললেন বাষট্টি দিন পর। গঙ্গায় স্নানটা তাদের অভ্যাস। বছর পঞ্চাশের ,ঊষা সাউ বললেন - যদি গঙ্গায় স্নান না করেন ,তাহলে তার আত্মা চঞ্চল হয়ে যায়। রাতে ঘুম আসেনা।শুধু স্নান নয় ,ঘাটে ব্রাহ্মণ ধরে পুজোও চলছে। স্নান সেরে ঘাট থেকে উঠে একসঙ্গে জটলা বেঁধে পুজো করছেন সবাই, আর মাস্ক নামিয়ে ঠাকুর মশাই পুজোর মন্ত্র বলছেন। কমপক্ষে তিনশ থেকে চারশ লোকের ভিড় ছিল ওই ঘাটে।
কারো মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি ওই সময়। এমনকি স্বাস্থ্য বিধি না মেনে, ব্রাহ্মণ কারো পিঠ চাপড়ালেন, সিঁদুর পড়ালেন ,আবার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদও করলেন। লকডাউন চলাকালীন কোন এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থান থেকে জমায়েত সরানোর জন্য, পুলিশকে লাঠিপেটা করতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বহু মানুষ ওই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধান রয়েছে স্বাস্থ্য বিধিতে। সেটা দেখার জন্য সকালবেলা ওখানে কোন পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি।
ভোর থেকে বেলা দশটা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ, স্নান করেছে পুজো দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যেভাবে আনলক -১ পালন করা হচ্ছে। তাতে করোনা সংক্রমনের আতঙ্ক দূর হবে কি? ধর্মের জিগির তুলে যেসব ধর্মভীরু মানুষ সকালবেলা, এইভাবে ঘাটের সামনে মন্ত্র বলে লোকজন জড়ো করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হবে? প্রশ্ন তুলেছেন ঘাটের আশেপাশের কয়েকজন।
SHANKU SANTRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।