কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারও বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, "অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কেসে মেরিটে যাচ্ছিনা। যারা সমানে কটাক্ষ করছেন তাদের বলব, আপনাদের হাতে ইডি, সিবিআই আছে বলে আপনারা ধারা বিবরণী দিচ্ছেন। আপনাদের নেতাদের নাম থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার হলেন না? আসলে খুব মজা লাগছে নাকি৷ হিম্মত থাকলে সিবিআই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করুন। রাজনৈতিক অবস্থায় নিজেরা নিরাপদ থেকে অন্যদের ট্রোল করছেন এটা হয় না।"
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বীরভঊম জেলা সভাপতিকে রাজ্য ছাড়া করা কি বিরোধীদের চাল? এদিন অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দেন কুণাল। বলেন, "শুধু একা অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে বিরোধী দল কী চাপে ছিল, সেটা বোঝা যাচ্ছে। এতে বিরোধী দলের দেউলিয়া অবস্থার কথা বোঝা যাচ্ছে। বীরভূমে আমাদের সংগঠকরা রয়েছেন৷ সাংসদ, বিধায়কেরা রয়েছেন। তাঁরা নেমেছেন ময়দানে৷ একা অনুব্রতকে নিয়ে বিরোধীরা বিব্রত হয়ে উঠেছে।"
এরপরেই কুণালের দাবি, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্য়বহার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ অন্য বিরোধী নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে চিঠি দিয়েছেন, তারপরেই যেন তারা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
অনুব্রত ছাড়াও, এদিন আরও একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন কুণাল। গত বুধবারই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ তথা এফএসডিএর নতুন কমিটির মাথা থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে বসানো হয়েছে তপন দাশগুপ্তকে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চাও খুব একটা কম হয়নি। প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি এবার ধীরে ধীরে দায়িত্ব কমানো হবে ফিরহাদ হাকিমের? এ কি পরোক্ষে সাগরদিঘির হারেরই প্রতিক্রিয়া?
এ দিন এ বিষয়ে মন্তব্য় করতে গিয়ে কুণাল বলেন, "ফুরফুরা শরিফে বেশ কিছু উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। ববি হাকিমের সময় নিয়ে সমস্যা হচ্ছে৷ তাঁর জায়গায় তপন দাশগুপ্তকে আনা হয়েছে৷" এরপরেই কুণালের কটাক্ষ, এক সময় তো দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল। তার পিছনেও কি ব্যর্থতার মতো কোনও কারণ ছিল? তা হলে ফুরফুরা শরিফের এই পদ নিয়েই বা জল্পনা হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
আরও পড়ুন: এরাই হল প্রাণীজগতের 'Real Boss'! পিঁপড়ে থেকে হায়না রাজ মহিলাদেরই
উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়িতে বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে লেনিনের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ নিয়েও মন্তব্য় করেন কুণাল। বলেন, "এসএফআই আগে প্রায়শ্চিত্ত পদযাত্রা করুক৷ যখন প্রাথমিকে, ইংরেজি শিক্ষা তুলে দেওয়ায় একাধিক জেনারেশন পিছিয়ে পড়েছেন। আইটি-কে পিছিয়ে দিয়েছেন৷ বাম জমানায় হোল টাইমার কমরেড মানেই সরকারি চাকরি ছিল তাদের বাড়িতে। সেটা কী করে হত? কালো দিন ভুলিয়ে দেবেন এমনটা হবে না। লেনিন মূর্তি কারা ভেঙেছেন তা জানি না। তবে যাঁরা ভেঙেছেন তাঁরা ঠিক করেননি। কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চের শ্রদ্ধেয় নেতার মূর্তি ভাঙা ঠিক নয়৷ এর তীব্র বিরোধিতা করছি। এটা খুব দুঃখের।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।