হোম /খবর /কলকাতা /
ওয়ার্ক ফর্ম হোমের একঘেঁয়েমি কাটাতে নিউটাউনে এবার ওয়ার্ক পড, ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা!

Work Pods in Kolkata: ওয়ার্ক ফর্ম হোমের একঘেঁয়েমি কাটাতে নিউটাউনে এবার ওয়ার্ক পড, ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা!

ওয়ার্ক পডের প্রতীকী ছবি।

ওয়ার্ক পডের প্রতীকী ছবি।

সঠিক ওয়ার্কস্পেসের জন্য তৈরি ওয়ার্ক পডে ঘন্টা প্রতি কিংবা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে সহজেই অফিসের কাজ সারা যাবে (Work Pods in Kolkata)।

  • Share this:

#কলকাতা: গত দেড় বছর ধরে অতিমারীর কারণে বদলে গিয়েছে কাজের ধরন ধারণ। মানুষের কাজের জগতে জুড়েছে 'ওয়ার্ক ফর্ম হোম' (Work From home)। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোতে না হলেও এই নতুন এই কর্মজীবনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা। যেমন কেউ কেউ সঠিকভাবে কাজের জায়গার অভাব থাকায় বাড়ি থেকে Zoom কল নিতে পারছেন না। আবার বাড়িতে বাচ্চা থাকলে পরিবার আর কাজের সময়ের মধ্যে ব্যালেন্স করার কঠিন হয়ে উঠেছে। এই সব সমস্যা সমাধানের জন্য আসতে চলেছে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের বিকল্প ওয়ার্ক পড (Work Pod)। আবাসিক এলাকায় সঠিক ওয়ার্কস্পেসের জন্য তৈরি ওয়ার্ক পডে ঘন্টা প্রতি কিংবা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে সহজেই অফিসের কাজ সারা যাবে।

ওয়ার্ক পড আসলে কী? এটি হল ছোট ছোট কিছু কাচের তৈরি কিউবিকল। যার মধ্যে থাকবে বিদ্যুৎসংযোগ থেকে শুরু করে ইন্টারনেটের সুবিধা সহ সব কিছুই৷ বিদেশের অনেক জায়গায় রাস্তার মোড়ে এই ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও কলকাতাতে এই প্রথম ওয়ার্ক পড চালু করতে চলেছে হিডকো (Hidco) কর্তৃপক্ষ। কলকাতার নিউটাউন এলাকায় পুরনো অফিসের জায়গাগুলিকেই নতুন রূপে ওয়ার্ক পডে রূপান্তরিত করা হয়েছে। নতুন এই কর্মক্ষেত্রে ৯০ মিনিটের জন্য দিতে হবে মাত্র ৩০ টাকা। শুধু তাই নয়, কাজ করার একঘেয়েমি কাটাতে মুখরোচক স্ন্যাকসের সঙ্গে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। আগামী ১৩ অগাস্ট থেকে নিউটাউন কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক পড নিয়ে আসছে। প্রথমদিকে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ ভিত্তিতে জায়গা দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে অনলাইনে বুক করে ওয়ার্ক পড থেকে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে।

এ প্রসঙ্গে হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন (Debasis Sen) জানিয়েছেন, "বাড়ি থেকে কাজ এখন আদর্শ ব্যবস্থা। কিন্তু অনেক ভারতীয় বাড়ি এর জন্য উপযুক্ত নয়। ওয়ার্ক পড আবাসিক এলাকায় দূরত্ব বজায় রেখে কাজের একটি বিকল্প জায়গা। আমরা আশা করি এটি অনেক মানুষকে সাহায্য করবে।"

এই নতুন উন্নয়ন নিয়ে একটি এনজিও-র কর্মী সোহিনী রাউত (Sohini Routh) বলেছেন, "এই ধরনের ওয়ার্ক পড কাজের সঠিক পরিবেশ দেয় যা বাড়িতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়াও, এখানে কাজ করলে অন্যের সংস্পর্শে যেতে হবে না যা অফিসে গেলে সম্ভব হত না। উপরন্তু, এটি প্রাথমিকভাবে হাঁটার দূরত্বে পাওয়া যাবে বলে যাতায়াতের খরচও বাঁচবে। একই সঙ্গে আগের মতো অফিসের পোশাক পরে বাড়ি থেকে বেরোলেও অফিসে যেতে হবে না।" ওয়ার্ক ফর্ম হোমের প্রতিকূলতা দূর করতে হিডকোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কর্পোরেট জগতের কর্মীরা।

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: Work From Home