#কলকাতা: হাসি নেই। খুশি নেই। ঘরে ঘরে শুধু মনখারাপ। আতঙ্ক। পুজোটা আদৌ হবে তো? কাঠামোয় খড় বাঁধতে বাঁধতে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছে কুমোরটুলি। এক মেটে থেকে দো-মেটে। আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। নববর্ষেও তো অর্ডার আসেনি। অবশেষে, আজ কুমোরটুলির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। এবছরের প্রথম দুর্গাপ্রতিমার বায়না দিল পুজো কমিটি।
হালখাতায় করা হয়নি 'হালখাতা', মুখ ব্যাজার করেছিল কুমোরটুলি ৷ অলি-গলি চলিলে এসময় নাকে এসে লাগার কথা ভেজা মাটির গন্ধ। কান পাতলে শুনতে পাওয়ার কথা, কর্তা বলছেন তাঁর কারিগরকে হাত চালা, হাত চালা। রথ যে এসে গেল। রথ এসে গেল মানে, কুমোরটুলি নাওয়া-খাওয়ার সময় ভুলল। এবছর কোথায় কি! পয়লা বৈশাখ গেল। বরাত হল কই? বোধনের আগেই বিসর্জনের বাদ্যি শোনাবে করোনা? এই আশঙ্কা যখন ক্রমশ চেপে বসছে, তখনই কিছুটা স্বস্তি। সোমবার, দুর্গাপ্রতিমার প্রথম বরাত এল।চৈত্রের কালী। তারপর শীতলা। মায় সিদ্ধিদাতা গণেশও হার মেনেছেন। করোনায় কাবু বাংলার পোটোপাড়ায় দেখা মেলেনি খদ্দেরের। দুর্গাপুজোও যে হই হই করে হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। মহিষাসুরকে নয় বধ করেছেন, দশভূজা। করোনা-সুরকে বধ করবেন কে?