#কলকাতা: অবশেষে কী প্রতিক্ষার অবসান ঘটবে বুধবার ? TET প্রার্থীদের এতদিনের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে বুধবার ৷ প্রশিক্ষিত না অপ্রশিক্ষিত কারা সুযোগ পাবেন এনিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলে আসছে বিতর্ক ৷ ২০১৬ সালের ৩১ মার্চের পর অপ্রশিক্ষিত টেট প্রার্থীদের নিয়োগের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কিছু প্রশিক্ষিত টেট পরীক্ষার্থী ৷ প্রশিক্ষিতরা কী আগে সুযোগ পাবেন না কী প্রশিক্ষিত-অপ্রশিক্ষিত মিলে অভিন্ন মেধা তালিকা তৈরি হবে ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে বুধবার ৷ মামলার জেরে আটকে রয়েছে TET পরীক্ষার্থীদের ভাগ্য ৷ তাই বুধবারের দিকে তাকিয়ে সকলে ৷ অবশেষে কী জট খুলবে মামলার ? টেট নিয়ে মামলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই পক্ষই ৷ বুধবার সেই মামলারই রায় দেবে আদালত বলে জানা গিয়েছে ৷
আইনি গেরোয় আরও জটিল হচ্ছে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ। প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে বড় সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে ৷
প্রাইমারি টেট মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা ৷ টেট নিয়ে কেন্দ্রের দেখানো পথেই ঘুরে আসতে হয়েছে রাজ্যকে। ইতিমধ্যেই আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাজ্য সরকার ৷ বিচারপতি সিএস কারনানের সামনে রাজ্য জানিয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার ৷
সেক্ষেত্রে শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণদেরই অগ্রাধিকার দেবে সরকার ৷ তাদের নিয়োগের পর যদি কোনও শূন্যপদ বেঁচে থাকে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর ফলে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীরা কতটা সুযোগ পাবেন সে নিয়ে সংশয় রয়ে গেল ৷ অথচ রাজ্যে শিক্ষক পদে চাকরির জন্য যে ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন তাদের বড় অংশই অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৷
একদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে আশার আলো দেখছেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণরা আর অন্যদিকে, প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে ৷
তবে কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চালিয়ে বদনাম কুড়োতে চায় না রাজ্য। হাইকোর্টে সেই ইঙ্গিতই দিলেন সরকারি আইনজীবী। এর আগে. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দিতে, গত বছর কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্র এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ায়। অবশ্য তার মধ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি। কিন্তু, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রশিক্ষণহীনদের যাতে নতুন করে সময় না দেওয়া হয় সেজন্যই আদালতে মামলা করেন চিন্ময় দলুই নামে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী। এদিন কেন্দ্রকে দেওয়া রাজ্যের সেই চিঠির কপিও আদালতে পেশ করা হয়।
চিন্ময়ের আইনজীবী এদিন আদালতকে অভিযোগ করেন, রাজ্য যখন চিঠি দিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায়, তখনই রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। শূন্যপদ কত, কত প্রশিক্ষিত প্রার্থী, কত অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী, কত জন টেট উত্তীর্ণ সেই তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য।
এর আগে মামলাকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেইসময় শূন্যপদের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী ছিলেন। তারপরও কেন প্রশিক্ষণহীনদের জন্য ফের আবেদন করে রাজ্য? গত ৪ অগাস্টের শুনানিতে সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিচারপতি কারনান।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla Khobor, Bengali News, Dog ETV News Bangla, Primary Teachers Appointment, TET, TET Case, TET Exam, TET Result, টেট, টেট মামলা