#কলকাতা: তখন কি ভুল হয়েছিল? পরিস্থিতি বদলানোয় বদলে গেল সিদ্ধান্ত? নাকি পিছনে রয়েছে কারও উস্কানি? আজ নতুন করেই প্রশ্নগুলো উঠল সিঙ্গুরের মাটিতে। কেননা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে হঠাৎই আজ শিল্পের দাবিতে সরব অনিচ্ছুক জমি মালিকদের একাংশ। কারখানায় চাষের অযোগ্য জমিতে শিল্প গড়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এসব দাবিদাওয়ায় কান না দিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই এগোতে চাইছে রাজ্য।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গুরে জমি বাঁচানোর আন্দোলন করেছিলেন। তার জেরে এঁদের গায়ে অনিচ্ছুকের ছাপ পড়ে গিয়েছিল। শিল্পবিরোধী হিসেবেও জুটেছিল তকমা। এঁদের একাংশই এবার সিঙ্গুরে চাষের অনুপযুক্ত জমিতে শিল্পের দাবি তুলছেন। বাম আমলে জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই শোনা যাচ্ছে এখন ভিন্ন সুর।
কেউ কেউ আবার সিঙ্গুরের জমিতে কৃষি ও শিল্পের সহাবস্থানের পক্ষে সওয়াল করছেন। জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাইছেন পরিবারপিছু একজনের চাকরি। যদিও এদের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসন।
এদিন পরিদর্শনে এসে পুর ও নগরোন্নায়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সিঙ্গুরে জমি জরিপের কাজ দ্রুত হচ্ছে ৷ বৃষ্টির জন্য একটু অসুবিধা হয়েছে ঠিকই ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সব কাজ হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হচ্ছে ৷ ’
অনিচ্ছুকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্যাম্প নিয়েও সোমবার জটিলটা তৈরি হয়েছে। এদিন সকাল থেকে বেড়াবেড়ি পূর্ব পাড়ার ক্যাম্প অফিসে ভিড় জমান কৃষকরা। কিন্তু অফিসের দরজা খোলাই হয়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকদের জানানো হয়, বেড়াবেড়ির বদলে নতুন ক্যাম্প হবে সিঙ্গুর বিডিও অফিসে। এরপরই জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মেটান স্থানীয় বিধায়ক।
কী কারণে অনিচ্ছুকদের এই শিল্প-দাবি? শুধুই কি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাহিদা বদল? নাকি আরও বড় ইঙ্গিত? জবাব খুঁজছে প্রশাসন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengali News, ETV News Bangla, Industry, Singur, Singur Framers, Singur Land Acquisition, Singur Land Controversy, Unwilling Farmers, সিঙ্গুর