#কলকাতা: রাজ্যের রেল প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর সবুজ সঙ্কেত। মেট্রো সহ সব নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করার আশ্বাস। কলকাতায় এসে ফের কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগের পক্ষে সওয়াল করলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসেই জানালেন, রেলমন্ত্রী হিসেবে সফল ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোকা-বিবাদীবাগে রুটে উচ্ছেদ ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়ে পালটা সহযোগিতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
রাজ্যের প্রস্তাবিত রেল প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার কথা শোনালেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। এই মুহূ্র্তে রাজ্যের হাতে থাকা প্রকল্পগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পগুলি। মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর মতো এ রাজ্যেও ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম চালু করতে চায় কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা জরুরি। বৃহস্পতিবার হাওড়া স্টেশনে রেলের অনুষ্ঠান এবং নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর কথাই জানিয়ে গেলেন সুরেশ প্রভু।
এদিন নবান্নে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী। পরে রেল ও প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও যোগ দেন বৈঠকে। রেল ও রাজ্যের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে জোকা-বিবাদী বাগ, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পগুলি। জোকা-বিবাদী বাগ নিয়ে তাঁর সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের জট কাটাতে রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দিনের শুরুতেই হাওড়া স্টেশনে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রভু। যার অধিকাংশই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি থাকা প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করতে, রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন রেলমন্ত্রী। আটকে থাকা প্রকল্পগুলি শেষ করতে, ফের কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগের পক্ষে সওয়াল করেন প্রভু। রেলের এই প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেয়নি রাজ্য। কিন্তু দায়িত্ব বোঝাতে রেলমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরই জরুরি বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার। নবান্নে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব, পরিবহণ সচিব এবং ভূমি দফতরের সচিব। ব্যুরো রিপোর্ট, ইটিভি নিউজ বাংলা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।