প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ রবিবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
১) বিদ্যুৎ চুরিতে বাধা দেওয়ায় মেটিয়াবুরুজে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে থেঁতলে খুন
পেশায় জরি ব্যবসায়ী। আর নেশা প্রতিবাদ করা। সেটা জুয়া-মদের আসরের বিরুদ্ধে হোক, ইভটিজিং হোক বা বিদ্যুৎ চুরি। বরাবরই রুখে দাঁড়াতেন তিনি। বছর দুয়েক আগে বাড়ির পাশে জুয়া-মদের আসরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় দুষ্কৃতীরা শুধু বাড়িতে ভাঙচুর চালায়নি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও নিগ্রহ করেছিল। তার জেরে ওই মহিলার গর্ভপাতও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিন্তু তার পরেও চুপ করে থাকার কথা ভাবেননি তিনি। শুক্রবার রাতে সেই নিরন্তর প্রতিবাদেরই চরম মাসুল দিতে হল নজরুল ইসলামকে (৪৭), নিজের প্রাণ দিয়ে।
২) ‘হ্যাপি বার্থডে ম্যাম! আগে তো কেক কাটুন, কেস পরে’
পুলিশে ছুঁলে কত ঘা? আঠেরো, না ছত্রিশ!ভাবতে ভাবতেই দুরু দুরু বুকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাস ধরেছিলেন রিয়া কারক। জ্বর গা। মাথা ঘুরছে। তবু পুলিশ বলে কথা! কাঁপা-কাঁপা গলায় স্বামী সুরজিৎ কারকের ফোনটা পেয়ে আর দেরি করার সাহস হয়নি বছর আঠাশের তরুণীর। তার পরে? রিয়া বা তাঁর স্বামী সুরজিতের কাছে ‘পুলিশ’ শব্দটার মানেই এখন পাল্টে গিয়েছে। সৌজন্যে কলকাতা পুলিশের শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট পিঙ্কু দেবনাথ। ‘ওয়ান ওয়ে’র নিয়ম ভাঙার জন্য পিঙ্কুই পাকড়েছিলেন সুরজিৎকে। ওই যুবকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র ছিল না কিছুই। অগত্যা সেই কাগজের খোঁজেই রিয়াকে ফোন করতে হয়। সেটা শুক্রবার সন্ধেবেলা। কলেজ স্ট্রিট-মহাত্মা গাঁধী রোডের মোড়েই নাটকের সূচনা।
৩) দামি খাটে রোগী ছটফট, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ডাক্তার কই?
পেটে অসহ্য ব্যথা দেবী মাহাতোর। বারবার বমি হচ্ছে। ঝাঁ চকচকে হাসপাতালের ততোধিক ঝকঝকে খাটে শোয়া ৫৫ বছরের দেবীর হাতে স্যালাইনের নল। নড়াচড়ার সাধ্য নেই তাঁর। বারবার আকুতি সত্ত্বেও ভর্তির পর ৩৬ ঘণ্টায় কোনও ডাক্তার আসেননি। বিশাল ওয়ার্ডে মাত্র তিন জন রোগী। দেবীর অদূরেই একটি খাটে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। সিভিক পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে এনে ভর্তি করে গিয়েছে। হাত-পা ছুড়ছেন, চিৎকার করছেন তিনি। ঠোঁটের কোণ বেয়ে ফেনা।
৪) একুশ আর আটত্রিশের আগুন মেটাল সতেরো বছরের অপেক্ষা
শ্রীলঙ্কার টেস্ট ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায় লিখে দিলেন দুই নায়ক। এক জন, আটত্রিশের সাদা চুলের স্পিনার। অন্য জন, একুশের তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। রঙ্গনা হেরাথ এবং কুশল মেন্ডিস। প্রথম জন দু’ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ন’টা উইকেট। দ্বিতীয় জনের ১৭৬ রানের ইনিংস তার আগে তৈরি করে দিয়েছে ঐতিহাসিক জয়ের ভিত। শনিবারের পাল্লেকেলে বাদ দিলে ১৯৯৯-এর ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম এবং শেষ বার অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ক্যান্ডির সেই ঐতিহাসিক টেস্টে খেলেছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা, অর্জুন রণতুঙ্গা, সনৎ জয়সূর্য, মাহেলা জয়বর্ধনে, মুথাইয়া মুরলীধরন, চামিন্ডা ব্যাসের মতো সর্বকালের সেরা শ্রীলঙ্কানরা। সেই টেস্টের সঙ্গে পাল্লেকেলে টেস্টের প্রধান তফাত, শ্রীলঙ্কার দুই দলে। কুমার সঙ্গকারা এবং জয়বর্ধনের অবসরের পর এই শ্রীলঙ্কা টিম নতুন করে নিজেদের পরিচয় খুঁজতে ব্যস্ত। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাতে নেমে যাওয়া যে টিম বিশ্বের এক নম্বর টিমকে হারিয়ে দিল ১০৬ রানে।
১) আবেশের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে মৌন মিছিল
মাত্র ন’ বছরের ব্যবধানে ঠিক যেন রিজওয়ানুর-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! এবার আবেশের রহস্য মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে শনিবারের বারবেলায় মৌন মিছিলের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা কলকাতা। লেক অ্যাভিনিউ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এই মৌন মিছিলে হাজির সকলেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসেছিলেন। ঘটনার পর থেকে রাজ্য সরকারের উপর আস্থা দেখিয়ে আসছিল আবেশের পরিবার। তাই রাজনৈতিক ছোঁয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান কিংবা সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতাদের বাড়ির দোরগোড়া থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিল আবেশের পরিবার। কিন্তু সেই নিরপেক্ষতা বজার রইল কই?
২) উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যেই জার্মানি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যানুফাকচারিং শিল্পে নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যানুফাকচারিং শিল্পে জোর দিতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রীকে। তাই এবার জার্মান সফরকে ‘পাখির চোখ’ হিসাবে প্রস্তুতি শুরু করেছেন অমিতবাবু। কারণ, জার্মান অটোমোবাইল শিল্প, ম্যানুফাকচারিং শিল্পের পীঠস্থান বলে পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী এবারের সফরে গাড়ি, বন্দর নির্মাণ, সিমেন্ট কারখানাসহ ভারী শিল্পকে ‘ফোকাস’ করার পরিকল্পনা করেছেন।
৩) ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি চলবে না, বাসমালিকদের বার্তা শুভেন্দুর
দুর্নীতির সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকবেন না। ওই অভিযোগে কেউ ধরা পড়লে অফিসারদের কাছে যাবেন না। শনিবার ধর্মতলায় ট্রাম কোম্পানির কন্ট্রোল অফিসের পাশে নিগমগুলির শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের অনুমোদিত কর্মী সংগঠনগুলির সংবর্ধনা সভায় এই ভাষাতেই সতর্ক করে দিলেন পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। ওই একই মঞ্চ থেকে বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়েছেন।
৪) যানজটের উন্নতি হলেও ধীর গতিতে যান চলাচল গুরগাঁওয়ে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত দিল্লি-মুম্বইয়েযানজটের উন্নতি হলেও যানবাহন অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে গুরগাঁওয়ে। শহরের ১৪টি মেন পয়েন্টে ইনসপেক্টর র্যাং কের পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। সেগুলি হল হিরো হন্ডা চক, রাজীব চক, ঝরসা চক, সিগনেচার টাওয়ার চক, ইফকো চক প্রভৃতি। যদিও, বৃষ্টিপাত অব্যাহত। রাজধানী দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। বৃষ্টির জেরে নেমেছে দিল্লির তাপমাত্রা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Daily News Paper, Morning Newspaper, Sunday Morning Headlines, Sunday Morning Newspapers