এমার্জেন্সির সামনে চাপ চাপ রক্ত। এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তমাখা জুতো। একের পর এক সাইরেন বাজিয়ে ঢুকছে অ্যাম্বুলেন্স। বের করে আনা হচ্ছে রক্তাক্ত মানুষকে। স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের হাহাকারে দমবন্ধ পরিবেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । একই পরিস্থিতি মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটিরও।
#কলকাতা:এমার্জেন্সির সামনে চাপ চাপ রক্ত। এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তমাখা জুতো। একের পর এক সাইরেন বাজিয়ে ঢুকছে অ্যাম্বুলেন্স। বের করে আনা হচ্ছে রক্তাক্ত মানুষকে। স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের হাহাকারে দমবন্ধ পরিবেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । একই পরিস্থিতি মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটিরও।
দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ের পোস্তা। মানুষ , গাড়ি, অটো, ভ্যানে জমজমাট গণেশ টকিজ এলাকার বিবেকানন্দ রোড। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। মূহূর্তে নীচে চাপা পড়ে যান অনেকে। তারপর পুলিশ, প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ততক্ষণে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। ফাঁকা করে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগের সামনের জায়গা । বন্ধ করে দেওয়া হয় আউটডোর। শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা শুরু হয়। একের পর এক ঢুকতে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স। জীবিত না মৃত বোঝার উপায় নেই। রক্তে ভিজে যাওয়া শরীর। বিকৃত। গায়ে, মাথায় অস্থায়ী ব্যান্ডেজ।
জরুরি বিভাগের সামনে তখন চাপ চাপ রক্ত। রক্তমাখা জুতো। একেকটি অ্যাম্বুলেন্স আসছে, ঝাঁপিয়ে পড়ছেন আত্মীয়পরিজন, বন্ধুরা। তাঁদের ঘরের ছেলে-মেয়ে নয়তো? এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে অনেকে তো চিনতেই পারছিলেন না। আহতদের মধ্যে কেউ কেউ বন্ধুদের কাঁধে ভর দিয়ে নিজেরাই চলে আসেন হাসপাতালে।
আহতদের চিকিৎসায় সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শহরের চারটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সার্জারি বিভাগগুলিকে অ্যালার্ট করার কথা জানান শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা । ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।