প্রশাসনিক কাজে গতি ও স্বচ্ছতা। সব জেলার প্রতিনিধি। নতুন ও অভিজ্ঞতার মিশেল। দলের নেতাদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা। সংখ্যালঘু ও মহিলা প্রতিনিধি। মন্ত্রিসভার তালিকা তৈরি করতে গিয়ে এরকম বহু চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূল নেত্রীর সামনে। আপাতত ৪৩ জনের মন্ত্রিসভায় সব দিকেই ভারসাম্য বজায় রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয় মন্ত্রীর ডানা ছেঁটে বার্তা দিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় পারফরম্যান্সই শেষ কথা।
#কলকাতা: প্রশাসনিক কাজে গতি ও স্বচ্ছতা। সব জেলার প্রতিনিধি। নতুন ও অভিজ্ঞতার মিশেল। দলের নেতাদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা। সংখ্যালঘু ও মহিলা প্রতিনিধি। মন্ত্রিসভার তালিকা তৈরি করতে গিয়ে এরকম বহু চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূল নেত্রীর সামনে। আপাতত ৪৩ জনের মন্ত্রিসভায় সব দিকেই ভারসাম্য বজায় রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয় মন্ত্রীর ডানা ছেঁটে বার্তা দিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় পারফরম্যান্সই শেষ কথা।বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা রাজ্যবাসীর। দ্বিতীয় ইনিংসের মন্ত্রিসভার তালিকা তৈরিতেও রাজ্যবাসীর সেই প্রত্যাশা পূরণের কথা মাথায় রাখতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় কড়া অবস্থান নিতে কোনও সমস্যা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।বৃহস্পতিবারই দলে ব্যাপক রদবদল এনে কড়া বার্তা দিয়েছেন। মন্ত্রিসভাতেও তার ছাপ। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ভোটে জিতেও মন্ত্রিত্ব খোয়াচ্ছেন ৯ বিধায়ক। হেরে বাদ গিয়েছেন আরও আট মন্ত্রী। সেই জায়গা ভরাট করতে নতুন মুখ এসেছে ১৮ জন।সামঞ্জস্য রেখেছেন দলের মধ্যেও। দলের পুরনো কর্মীরা শুরু থেকে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ছিল। বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভায় এনে সেই মহলকে বার্তা দিয়েছেন মমতা। দলে এবং প্রশাসনে রাসবিহারির বিধায়কের গুরুত্ব বেড়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে চলেছেন বলেই খবর। দুই মেদিনীপুরে ভাল ফলের পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী।কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় আরও ভাল করতে মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তরুণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে জায়গা দেওয়া হয়েছে লক্ষীরতণ শুক্লা, ইন্দ্রনীল সেনের মতো প্রথমবারের বিধায়কদের। ফলে মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য রক্ষা হয়েছে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসার পুরস্কার পেয়েছেন রেজ্জাক মোল্লা। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে তুলে আনা হয়েছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকেও। মন্ত্রিসভায় সব জেলার প্রতিনিধি থাকলেও একটিও আসন না পাওয়ায় দার্জিলিং ও মালদহ থেকে কোনও মন্ত্রী করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী।
দ্বিতীয় ইনিংসে আপাতত ৪৩ জন নিয়ে যাত্রা শুরু করছেন তৃণমূল নেত্রী। নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন কে কোন দফতর পান সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।