#কলকাতা: মানুষের ভোটেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম-কংগ্রেস। পাটিগণিতের হিসেবেও দুর্দশা অব্যাহত। তা সত্ত্বেও জমি ধরে রাখতে, ভোটের পরও জোটের দিয়ে ঝুঁকে হাত ও হাতুড়ি। সেই লক্ষ্যেই বামেদের শাসক-বিরোধী কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও আমন্ত্রিত বামেরা।
ভোট শেষ, জোট শেষ। তৃণমূলের কাছে গো-হারা হারের পর বাম-কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এমনই নিদান শুনিয়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ডের একাংশ। জোট বিরোধিতায় আক্রমণ শানানোর অপেক্ষায় রয়েছে সিপিএমের কেরল লবিও। তবুও অস্তিত্ব রক্ষায় এক হতে চাইছে হাত ও হাতুড়ি। সোমবার রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে সেকথাই স্পষ্ট করেছিলেন দুই শিবিরের প্রধান সেনাপতি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও পরিষ্কার হল ভোট পরবর্তী জোটের ভবিষ্যৎ।
২৫ ও ২৬ মে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে রাজ্যজুড়ে গণনা পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বামেদের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ৷ বামেদের কর্মসূচিতে থাকবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল ৷ থাকতে পারেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও ৷ ২৭শে শপথের দিন একই ইস্যুতে কংগ্রেসের অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে ৷ ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত বামেরাও ৷
আলিমুদ্দিন ও বিধান ভবন সূত্রে খবর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমি ধরে রাখতে লাগাতার যৌথ আন্দোলনের পথেই হাঁটবে জোট। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও যৌথ কর্মসূচি ঠিক হয়নি। যদিও মঙ্গলবার ফের জোটের পক্ষে দাড়িয়ে গলা ফাটাচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি।
সন্ত্রাস ইস্যুতে এদিন লালবাজারে যায় ৯ সদস্যের বাম প্রতিনিধি দল। পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে স্মারকলিপি দিয়ে, ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের ফেরানোর আর্জি জানান তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: After Election Violence, Leftfront Congress Alliance, West Bengal Assembly Election 2016