#কলকাতা: নারদ স্টিং অপরেশনে কী ভূমিকা? ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হয়? হাইকোর্টের খোঁচায় তথ্য সন্ধানে তৎপর সিবিআই। খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরশু নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারদকাণ্ডে তেরো অভিযুক্তের মধ্যে প্রথম নোটিস সিবিআইয়ের। ষোলোই এপ্রিল নারদ তদন্তে তেরো জনের নামে FIR করে সিবিআই। এরপর ম্যাথু স্যামুয়েলকে কয়েকবার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় দু'মাসে এছাড়া তদন্তে কোনও অগ্রগতিই হয়নি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি নারদ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই তৎপর সিবিআই।
নারদ তদন্তে তলব
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, - টাইগার মির্জার মাধ্যমে ইকবাল আহমেদের সঙ্গে ম্যাথুর যোগাযোগ- নারদ ফুটেজে দেখা যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে নারদকর্তা ম্যাথুর যোগাযোগ করান ইকবাল- ফুটেজে টাকা নিতেও দেখা গেছে ইকবাল আহমেদকে- মোট ১০টি ভিডিও ক্লিপ অর্থাৎ ১০ জায়গায় তাঁকে দেখা যায় - সিবিআইয়ের কাছে একই দাবি করেছেন ম্যাথু স্যামুয়েলও
২০ জুন কলকাতা হাইকোর্টে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মামলার শুনানি। ওই দিন আরেক দফা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির প্রশ্নে জর্জরিত হওয়া থেকে বাঁচতেই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআইয়ের পাশাপাশি নারদ তদন্তে তৎপর ইডিও। স্টিং চলাকালীন কলকাতার লি রোডের একটি গেস্টহাউসে উঠেছিলেন ম্যাথু। প্রায় ছ'মাস সেখানে ছিলেন তিনি। এদিন, ওই গেস্ট হাউসের মালিক ক্যাপ্টেন বলরাম গোস্বামীকেও তলব করেছে এনফোর্সমেস্ট ডিরেক্টরেট। বারোই জুন তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।