গুলশান হামলাঃজোরালো হচ্ছে আইএস যোগের তত্ত্ব

গুলশান হামলার প্রাথমিক তদন্তে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে আইএস যোগের তত্ত্ব।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #কলকাতা:  গুলশান হামলার প্রাথমিক তদন্তে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে আইএস যোগের তত্ত্ব। নিখুঁত ছক কষে সুরক্ষিত এলাকায় হামলা ও জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্র-বিস্ফোরক প্রমাণ করছে, জেএমবি-র পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। সোশ্যাল সাইটে জঙ্গিদের কথোপকথনেও মিলেছিল গুলশান হামলার ইঙ্গিত। হতে পারে আরও বড় হামলা। এমন ইঙ্গিত মিলেছে জঙ্গিদের পাঠানো তথ্য ডিকোড করে।

    গুলশান হামলার পিছনে আইএস নেই। এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু, তদন্তে তার বিপরীত তথ্যই উঠে আসছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, হামলার ধরনধারণই প্রমাণ করছে গুলশান হত্যার পিছনে রয়েছে বিশ্বত্রাস জঙ্গি সংগঠন আইএস। গোয়েন্দাদের এই দাবির কারণ কী।

    অভিযানের ধরন--আইএসের ধাঁচেই হত্যালীলা গুলশানের রেস্তোরাঁয়গলা কেটে খুন করা হয়েছে বিদেশিদের
    নিখুঁত ছক কষে নকশা নিয়ে রেস্তোরাঁ কব্জা করে 'অপারেশন'ব্যবহৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক--স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছেজেএমবি সাধারণত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারই করে নাগোয়েন্দা সূত্রের দাবি, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের পক্ষে এতবড় হামলা চালানো সম্ভব নয়। জেএমবি-র ছোটখাট হিংসার সঙ্গে এর বিস্তর ফারাক। বরং গুলশানের সঙ্গে মিল রয়েছে মুম্বই হামলার। আইএসের মতো সংগঠনের মদত ছাড়া যা কখনই সম্ভব নয়।

    গুলশান হানার ইঙ্গিত আগেই মিলেছে জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয় এমন একটি ওয়েবসাইটে।   ফেসবুকের মতো খলিফাবুকে জঙ্গিরা তথ্য আদানপ্রদান করে। তাতে ২-৩ দিনের মধ্যে হামলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। আরও বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ইঙ্গিত রয়েছে খলিফাবুকের কথোপকথনে।   সেই হামলার ব্যাপকতা এতটাই বেশি হতে পারে যে বিশ্বে হইচই ফেলে দেবে।

    প্রাথমিক তদন্তে মেলা তথ্য বাংলাদেশ সরকারের দাবিকেই খারিজ করছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, কূটনৈতিক কারণেই বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতির কথা স্বীকার করতে চাইছেন না হাসিনা সরকার।

    First published:

    Tags: Dhaka attack, Gulshan, Gulshan attack, Gulshan IS connection