#কলকাতা: সিনেমাকেও হার মানালো বাস্তবের স্পেশ্যাল ২৬ - রা। স্পেশ্যাল ২৬ সিনেমার ধাঁচে প্রতারণার উদ্দেশ্যে দল বেঁধে অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছিল ভুয়ো চক্র। সিবিআই থেকে আইবি - পরিচয় দিয়ে চলত প্রতারণা। মূল মাথারা কেউ সিবিআইয়ের প্রাক্তন অফিসার, কেউ আবার আইবি থেকে বরখাস্ত। শেষরক্ষা অবশ্য হল না। পুলিশের জালে স্পেশ্যাল-২৬ এর তিন চক্রী। শুল্ক অফিসার পরিচয়ে ট্রেনে উঠে শুরু হল তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত হল ব্যাগে ভরা বেশ কয়েকটি সোনার বাঁট। ধরানো হল সিজার লিস্ট। ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতেই পাল্টে গেল নাটকের দৃশ্যপট। বাজেয়াপ্ত মাল হাতে বেরনো আধিকারিকদের জাপটে ধরেন স্টেশনে ওঁত পেতে থাকা বেশ কিছু নতুন মুখ। ভুয়ো শুল্ক অফিসারদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে ভ্যানে তুললেন আসল অফিসাররা। নিউ-জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে দেখা গিয়েছে এমনই টানটান চিত্রনাট্য। প্রাথমিক তদন্তের পর নকল অফিসারদের কাণ্ডৃকারখানা দেখে আঁতকে উঠছে পুলিশ। এতো পিছনে ফেলে দেবে স্পেশ্যাল ২৬ কেও। -সিবিআই, আইবি, শুল্ক দফতরের অফিসার সেজে গোটা দেশে প্রতারণা চক্রের ছক তৈরি হয়েছিল -নেপথ্যে সাসপেন্ড, অবসরপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত সিবিআই ও আইবি-র বেশ কয়েকজন অফিসার -চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা ও দপ্তরে যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে তথ্য যোগাড় হত - তৈরি হয় ভুয়ো নথি, সার্চ অর্ডার, সিজার লিস্টের কপি কাজ হাসিলে এনআইএ-কে সামিল করার ছক দেখে হতবাক দুঁদে গোয়েন্দারাও। -ভুয়ো রেডে এনআইএ-কে পাশে পেতে চেষ্টা চালায় এই চক্র -আইবি-র অফিসার পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করা হয় এক এনআইএ অফিসারের সঙ্গে -কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়াতেই সেই ফাঁদে পা দেননি ওই অফিসার -ফোনের কথা তিনিই পুলিশকে জানিয়ে দেন বার, হোটেল, রেস্তোঁরা, গুদাম কিংবা বাণিজ্যিক দপ্তর। সবজায়গাতেই পরিকল্পনা ছিল ভুয়ো রেডের। স্থানীয় মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতেই পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য চাইত এই চক্র। চক্রের বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই পুলিশের জিম্মায়। তলে তলে আরও কি পরিকল্পনা ছিল এই স্পেশ্যাল ২৬' দের? তারই খোঁজে এখন হন্যে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBI, Fraud Racket, Gold Seized, IB, NIA, Special 26 Movie, Special Officers