দল বাঁচাতে আদালতের শরণাপন্ন কংগ্রেস

মানসের হাতবদলের জের। এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছে প্রদেশ নেতৃত্ব। কালই দিল্লি যাচ্ছেন আব্দুল মান্নান।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #কলকাতা: মানসের হাতবদলের জের। এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছে প্রদেশ নেতৃত্ব। কালই দিল্লি যাচ্ছেন আব্দুল মান্নান। পাশাপাশি, মানসের বিধায়ক পদ খারিজের তোড়জোড়ও শুরু করেছে কংগ্রেস। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আজ স্পিকারকে চিঠিও দেন বিরোধী দলনেতা।

     একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। সেদিন একই পথে হেঁটে তৃণমূলের খাতায় নাম লেখান গাজলের বাম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। পয়লা সেপ্টেম্বর তৃণমূল ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন রেজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী।

    প্রত্যেকেই অবশ্য পরে দলত্যাগের কথা কার্যত অস্বীকার করেন। আইনি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, বিধানসভার ভিতরে-বাইরে তাঁরা শাসক দলের হয়েই কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে মানস ভুঁইয়ার দলত্যাগে আরও বিপাকে কংগ্রেস শিবির। কারণ দলত্যাগ বিরোধী আইনে মানসের বিধায়ক পদ যে খারিজ করা কঠিন, তা বুঝতে পারছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগের হিড়িক রুখতে সর্বোচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হচ্ছে কংগ্রেস। আইনি লড়াইয়ে দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে প্রদেশ নেতৃত্ব।

     প্রথম কৌশল

    দল বাঁচাতে আদালতে

    - দলত্যাগ বিরোধী আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার প্রস্তুতি- মামলাটি করবে প্রদেশ কংগ্রেস- কংগ্রেসের অভিযোগ, এক রাজনৈতিক দল থেকে জিতে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন জনপ্রতিধিরা- কিন্তু বর্তমান আইনে স্পিকারের সম্মতি ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই- আইনের অপব্যবহার রুখতেই দলত্যাগবিরোধী আইনে বদলের দাবি জানানো হবে

    দ্বিতীয় কৌশল

    - আদালতে বলা হবে দলবদলের জেরে ভোটারদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে- ভোটারদের স্বার্থরক্ষার্থেও দলত্যাগবিরোধী আইনে বদল প্রয়োজন- এই মামলাটি ব্যক্তিগতভাবে করা হবে

    যদিও প্রদেশ নেতৃত্বের এই তৎপরতা আদৌ আমল দিচ্ছেন না, সদ্য দলত্যাগী সবংয়ের বিধায়ক।

    মামলা করতে বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তবে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই কি আগামী দিনে দলের ভাঙন ঠেকাতে পারবে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    First published:

    Tags: Abdul Mannan, Anti Defection Law, Bengali News, Congress, ETV News Bangla, Manas Bhunia Join TMC