#কলকাতা: বেহালা পর্ণশ্রীর সুরজিৎ বোস শনিবার দুপুরে বাড়ি ফিরেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে। এখনও প্রচুর ভারতীয় আটকে রয়েছেন ইউক্রেনের জাপ্রজিয়ার মেডিক্যাল কলেজে। প্রায় দেড় হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ওখানে এখনও আটকে আছেন। এখন সবাই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। সুরজিতের কথায়, ১৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ভারতীয় ছাত্ররা ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসে পরিস্থতি নিয়ে জানতে চায়। সেই সময় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছিল।
২০ তারিখ থেকে রুশ হামলা শুরু হয়ে যায়। তারপরই আতঙ্কিত হতে শুরু করে সবাই। ইতিমধ্যে ভারত সরকার তিনটি বিমান পাঠায় ওখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরানোর জন্য। সুরজিতের কথায়, ''১৫ হাজার মানুষের জন্য তিনটি বিমান কী হবে? যেখানে ভারত থেকে ইউক্রেনের বিমান ভাড়া ২৫হাজার টাকা। সেই বিমান ভাড়া এক লক্ষ টাকা হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাসের কাছে অভিবাসন দফতর থেকে ইউক্রেনে থাকা সকলের নথি থাকা সত্ত্বেও কেউ সাহায্য পায়নি।''
সুরজিতের বিমানের টিকিট নিশ্চিত হবার পরেই ২২ ফেব্রুয়ারি জাপ্রজিয়া থেকে কিভে ২৩ তারিখে বিকেল সাড়ে চারটেয় পৌঁছানোর পর বিমান বন্দরে হাজার হাজার বিভিন্ন দেশের মানুষ বিমান ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় কিভের রাস্তায় কোন ইউক্রেনিয়ানকে দেখা যায়নি। ওই শহরে ইন্টারনেট, এটিএম সমস্ত কিছুই বন্ধ ছিল।
এমনকী শহরের প্রচুর জায়গা অন্ধকার। হঠাৎ করে ঘোষণা হয় রাশিয়া ওই বিমান বন্দর আক্রমণ করবে। ঘোষণার পরই বিমান বন্দরে আকাশ পথে হানা শুরু হয়। সেই সময় কে কোথায় গিয়ে লুকিয়ে ছিল নিজেরাই জানে না। প্রচুর মানুষ পাতাল রেলের স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে। কোনভাবে পর পর তিনটি বিমান তিনদিনে ইউক্রেন থেকে আসে। সেই বিমানেই ২৪ তারিখ দোহা এসে পৌঁছায় সুরজিৎ। দোহা থেকে দিল্লি হয়ে শনিবার বাড়ি পৌঁছায় সে। ছেলেক কাছে পেয়ে সুরজিতের বাবা-মা বেজায় খুশি। সুরিজিতের কথায়, ওখানে যারা বাঙ্কার কিংবা পাতাল রেলের স্টেশনে দিন কাটাচ্ছে, তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সামান্য শুকনো খাবার, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য সামান্য জল ছাড়া আর কিছু নেই। ঘন ঘন মিসাইল আক্রমণ আর বারুদের গন্ধ। প্রাণে বাঁচবে কিনা, তার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।সবাই যুদ্ধ থামার দিকে তাকিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Russia Ukraine War, Ukraine crisis