#কলকাতা: ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, পরে দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল বলেন, আর্থিক লেনদেনের কারণেই এই হত্যা। খুনের মাস্টারমাইন্ডকে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন অশোক শাহ। সেই টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয়, সেই কারণেই অপরাধী খুন করে। যে তিনজন খুন করতে এসেছিল, তাঁদের তিনজনেরই শাহের কাছে কিছু কিছু টাকা ধার ছিল। এ ছাড়া খুনের মাস্টার মাইন্ডের কাছে সবচেয়ে বেশি ধার ছিল বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই মাস্টারমাইন্ড ধরা পড়বে বলেও জানিয়েছেন কমিশনার।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে বিস্ফোরক উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কী পোস্ট করেছিলেন তিনি ফেসবুকেবৃহস্পতিবার সকালে প্রথম জানা যায়, সকালে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের তিন জনের মধ্যে দুজনকে সকালে গ্রেফতার করা হয়, তার পর সেই দুজনের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তৃতীয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই তৃতীয় ব্যক্তিই ওড়িশা থেকে সুপারি কিলার হিসাবে এসেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পরে কলকাতাতেই গা-ঢাকা দিয়ে ছিল এই সুপারি কিলার।
আরও পড়ুন: টেটে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য, উপেন বিশ্বাসের তোলা অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই!কিন্তু কেন খুন করা হল, তাই নিয়ে তখনও স্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশই সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, ভবানীপুরের বাসিন্দা অশোক শাহ মোটা টাকা ধার দিয়েছিলেন, এক পরিচিতের কাছ থেকে। মনে করা হচ্ছে, সেই অর্থ ফেরত দিতে পারেননি ওই ব্যক্তি, আর সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ধার নিয়েছিলেন অশোক, কিন্তু পরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তখনই পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, সুপারি কিলার ছাড়াও এই ঘটনার এক জন মাস্টার মাইন্ড রয়েছে। সে পরিবারের পরিচিত। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে দম্পতির বাড়িতে যায় ওই মাস্টার মাইন্ড। সেখানে গিয়ে সে খুনের ছক করে।
সুশোভন ভট্টাচার্যনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murder