#কলকাতা: কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) মানবিকতায় প্রাণে বাঁচলেন হাওড়ার এক ব্যক্তি। ঘটনটাস্থল দ্বিতীয় হুগলিসেতু। সকালে হাওড়া থেকে বাইকে করে সঙ্গীকে নিয়ে কলকাতা যাওয়ার পথেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাইক চালক ঋত্বিক রায়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু অতিক্রম করার ঠিক মুখেই হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন ঋত্বিক বাবু। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে রাস্তার ধারে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঋত্বিক বাবুর সঙ্গী ছিলেন তাপস পাল নামে এক ব্যক্তি।
সঙ্গীর এই অবস্থা দেখে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন তাপস বাবুও। ঘটনাটি দেখতে পান দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে কর্তব্যরত দ্বিতীয় হুগলি সেতু ট্রাফিক গার্ডের অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইনসপেক্টর এসগড়াই। বিদ্যাসাগর সেতু ট্রাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি, ইনসপেক্টর কৃষ্ণেন্দু গুপ্তকে তিনি জানান বিষয়টি। কৃষ্ণেন্দুবাবু অনবরত কলকাতা পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু সেই মুহুর্তে অন্য রোগী নিয়ে সেই অ্যাম্বুলেন্স অন্য হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় কোনও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যায়নি।
কৃষ্ণেন্দু বাবু কোনও রকম সময় নষ্ট না করে নিজের দফতরের গাড়ি নিয়ে ঋত্বিক বাবুকে উদ্ধার করেন। এসএসকেএম হাসপাতালে ঋত্বিক রায়কে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাপসবাবুও। হঠাৎ করেই গাড়ি প্রয়োজন হাওয়ায় সেই সময়ে চালকও ছিল না কৃষ্ণেন্দু বাবুর। সেই সময়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার রঞ্জিত বেলেল বলেন তিনিই চালাবেন গাড়ি।
কোনও রকম ইতস্তত না করেই কৃষ্ণেন্দুবাবু রাজিও হয়ে যান। রাস্তা থেকে ঋত্বিকবাবুকে উদ্ধার করে পৌঁছে দেন এসএসকেএম-এ। সেখানেই চিকিৎসাধীন এখন ঋত্বিকবাবু। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা জানান, আর একটু বেশি দেরি হলেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতো। ঋত্বিক বাবুকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি। তাঁর মোটর সাইকেলটিও উদ্ধার করে হেস্টিংস থানায় নিয়ে যান। ঋত্বিক বাবুর সঙ্গী তাপস পাল জানান, "ঋত্বিক বাবুর এমন অবস্থা হবে ভাবতেই পারিনি। এই অবস্থায় দেখে দিশাহারা হয়ে পড়ি। পুলিশের এই সাহায্য না পেলে আজ হয়তো বন্ধুকে হারাতে হতো।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata Police