#কলকাতা: বুধবার সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা। পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে ডিউটিতে রয়েছেন ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট স্নেহাশীষ মুখার্জি। হাজারো ব্যাস্ততম রাস্তায় কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছে স্নেহাশিসকে। হঠাৎ ট্রাফিক গার্ড থেকে ফোনে তাঁকে জানানো হলো, কাছেই একটি রেস্তোরাঁর সামনে সাহায্যের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন একজন মহিলা, তাঁকে যেন তৎক্ষনাৎ ফোন করেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট।
নির্দেশমতো ফোন করে স্নেহাশীষ জানতে পারেন, সাহায্যপ্রার্থীর নাম ডাঃ মিতা ভট্টাচার্য, রায়পুর এলাকার বাসিন্দা। পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে তাঁর স্কুটার খারাপ হয়ে গিয়েছে, অথচ পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একটি নার্সিংহোমে অবিলম্বে পৌঁছতে হবে তাঁকে, অপারেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন গুরুতর অসুস্থ এক রোগী, যিনি প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কিছু সময় চেষ্টা করেও ঠিক হয়নি খারাপ হয়ে যাওয়া স্কুটার। অভিজ্ঞ চিকিৎসক আর সময় নষ্ট না করে ফোন করেন লালবাজারে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য বড়বাজার, হাওড়ার এক কারখানায় যা চলছিল! কলকাতা পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
লালবাজার কন্ট্রোল রুমের তরফে সমস্ত তথ্য নেওয়া হয় তৎক্ষনাৎ। চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে একটুকুও দেরী হয় কর্তব্যরত সার্জেন্টের। ব্যাপার বুঝে এক মিনিটও সময় ব্যয় না করে ডাঃ মিতা ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে নার্সিংহোমের দিকে রওনা দেন স্নেহাশীষ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে পৌঁছেও দেন তাঁকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বহিরাগত? বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের! পাল্টা ফিরহাদ
সেই মুহূর্তে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন চিকিৎসক। তার কিছু সময় পরে খবর আসে অপারেশন সফল হয়েছে, রোগী আপাতত ভালো আছেন। সময়োচিত এবং দ্রুত সাহায্যের জন্য কলকাতা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডাঃ ভট্টাচার্য। এই খবর শুনে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট স্নেহাশিস মুখার্জী সহ তার টিমের আনন্দের শেষ নেই। এই খুশির খবর পেয়ে আনন্দ লালবাজারেও। কলকাতা পুলিশের তৎপরতা বা ভূমিকা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এই ঘটনার পরে সেই ক্ষতে কিটুটা হলেও প্রলেপ দেওয়া সম্ভব হল বলে মত একাংশের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata Police, West Bengal news