#কলকাতা: হরিদেবপুরে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই। ধৃতদের নাম দেবরাজ রায়, জিতেন লামা ওরফে বিট্টু। বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় জিতেন ও দেবরাজকে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিতেনের বাড়ি মাহেশতলা এবং দেবরাজ বাড়ি বারুইপুরে। জিতেনকে পাথরপ্রতিমা রামনগর ঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়, দেবরাজকে জয়শ্রী কলোনী ঘাট পাথরপ্রতিমা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ধৃত কুন্দন কুমারকে জেরা করে বাকি দুজনের কথা জানা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কুন্দনের দুই বন্ধু ছিল দেবরাজ রায় ও জিতেন লামা। ঘটনার দিন তিন জন বাপ্পা ভট্টাচার্য সঙ্গে একসঙ্গে বসে মদ খায়। সেখানে ঝামেলা শুরু হয় এরপর কথা কাটাকাটি। বচসা তুঙ্গে পৌছায়। তারপর খুন করে বাপ্পা ভট্টাচাৰ্যকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারে ঔরঙ্গবাদ থেকে গ্রেফতার হয় কুন্দন কুমার। বাপ্পা মধ্য কলকাতায় যে চায়ের দোকানে কর্মী ছিলেন সেখানে কুন্দনও কাজ করত। ঘটনার দিন বাপ্পা ভট্টাচাৰ্য সঙ্গে মদ খেয়েছিল কুন্দন কুমার ও কুন্দনের দুই বন্ধু ।
আরও পড়ুন: ইনিই বিশ্বের ভয়ঙ্করতম স্নাইপার! পৌঁছলেন ইউক্রেনে, ক্ষমতা শুনে কাঁপছে রুশ বাহিনী
মত্ত অবস্থায় বচসা শুরু হয়। সেই নিয়ে অশান্তি তুঙ্গে পৌছায় এরপরই হত্যা করা হয় বাপ্পা ভট্টাচার্যকে । আরও কেউ জড়িত রয়েছে খুনের ঘটনায় তাঁদের খোঁজ করছে পুলিশ। বিহারে ঔরঙ্গবাদ কোর্ট থেকে ২১ ঘন্টার ট্রানসিট রিমান্ড কলকাতায় নিয়ে আসার নির্দেশ। শুক্রবার সকাল আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের। ধৃত তিন অভিযুক্তর ২৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হরিদেবপুর জিয়াদারগোট এলাকায় মঙ্গলবার দোতলা বাড়ির শৌচালয় থেকে বাপ্পা ভট্টাচার্য ( ৪৩ বছর বয়স ) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যে তৃণমূলের 'এই' পরিণতি! সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারিতে শোরগোল
মাথায় আঘাত ও পচন ধরেছিল বলে পুলিশের অনুমান। ঘর থেকে মেলে মদের বোতল, রক্তের দাগের নমুনা । হরিদেবপুরে ঘটনায় ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে পুলিশের দাবি, ভোঁতা কিছু দিয়ে খুন করা হয় বাপ্পাকে। লুঠের উদ্দেশে খুন বলে অনুমান। তবে বাপ্পা একা নয় তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল। বাপ্পা ভট্টাচার্য সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা ছিল দুই বন্ধুর।সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দারা পৌছায় লালবাজারে চায়ের দোকানে যেখানে কুন্দন ও বাপ্পা কাজ করত। সেখানে জানতে পারে ঘটনার পর কুন্দন আসছে না। তার খোঁজ শুরু হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহারে গিয়ে deo police station সহযোগিতায় কলকাতা পুলিশের টিম অভিযান চালায়। এরপর গ্রেপ্তার হয় কুন্দন। পুলিশ সূত্রে খবর, যে দুজনের আসার কথা ছিল তাদের মধ্যে একজন হল কুন্দন। পরিবারের দাবি,গত এক বছর ধরে হরিদেবপুরে থাকছিলেন বাপ্পা। একা থাকার সুযোগে মদ খাওয়ার অছিলায় হত্যার প্ল্যান করেছিল কুন্দন? পূর্ব পরিকল্পনা করেই কি খুন? স্ত্রী পিঙ্কি ভট্টাচাৰ্য ও পরিবারের মেয়ে জামাই সকলেই ঘটনায় হতবাক। তবে খুনের আসল মোটিভ কী? সে ব্যাপারে তদন্তকারীরা জেরা করবে ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে । ধৃতদেরকে হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনায় আর কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata News, Kolkata Police